ঘা-এর স্থানে সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, বেশ উপকার পাবেন। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিন হল জিভের নীচে ঘা হয়েছে? খাওয়াদাওয়া করতে বা কথা বলার সময়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে? সাবধান! সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করবেন না। এই সমস্যা কিন্তু মুখে আলসারের লক্ষণও হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোনের সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তারাও মাঝেমাঝে এই সমস্যায় ভোগেন। তা ছাড়া শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও এই রোগ হতে পারে।
এ রকম কোনও সমস্যা দেখা দিলে ক’দিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। নইলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখ সব সময়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
কী করলে আলসারের তীব্র যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন?
১) ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য নুন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনের মধ্যে তিন থেকে চার বার করলে আস্তে আস্তে ব্যথা ও ঘা দুই-ই কমে আসবে।
প্রতীকী ছবি
২) ঘা-এর স্থানে সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, বেশ উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে তবেই সুফল পাবেন।
৩) বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও এ ক্ষেত্রে বেশ আরাম পাওয়া যায়। যে কোনও ঘায়ের ক্ষেত্রেই হলুদ দারুণ কার্যকর। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। বেশ কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা করবে।
৪) গরম জলে ত্রিফলা মিশিয়ে মুখ ধুলেও আলসারের ক্ষেত্রে সুফল পাবেন।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী। এক কাপ জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। তা ছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।