তেষ্টা না পেলে জল খাওয়ার কথা মনেও থাকে না। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে জলের পরিমাণ ৬০ শতাংশ। কিন্তু সুস্থ থাকতে আরও বেশি জল প্রয়োজন। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। হজমের গোলমাল থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া— শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না থাকলে এই সমস্যাগুলি দেখা যায়। শরীর চাঙ্গা রাখতেও জলের ভূমিকা কম নয়। তবে শীতকালে জল খাওয়ার প্রবণতা তলানিতে এসে ঠেকে। তেষ্টা না পেলে জল খাওয়ার কথা মনেও থাকে না। সেই কারণে শীতকালে অল্পেতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। জলের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু জল খাওয়ার কথা যদি একেবারেই মনে না থাকে, তা হলে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি পানীয়ের উপর।
গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীর সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর। ওজন কমাতে গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। তবে মেদ ঝরানো ছাড়াও গ্রিন টি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা পলিফেনলস স্তন এবং মূত্রাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। গ্রিন টি ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের রোগীদের গ্রিন টি খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীর সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর। ছবি: সংগৃহীত
লেবুর জল
শরীরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বার করে দিতে লেবুর জলের ভূমিকা অনবদ্য। এই পানীয় হজমের গোলমাল কমানো থেকে শুরু করে লিভার সুস্থ রাখা— সবেতেই লেবুর জল দারুণ উপকারী। এই পানীয় ভিটামিন সি-র সমৃদ্ধ উৎস। ওজন ঝরাতেও লেবুর জলের উপর ভরসা রাখতে পারেন। তবে লেবুর রস সব সময়ে উষ্ণ জলের সঙ্গে মেশাবেন। তা হলে বাড়তি উপকার পাবেন।
ফলের রস
জলের অন্য একটি বিকল্প হতে পারে ফলের রস। তবে বাইরে থেকে ফলের রস কিনলে আলাদা কথা। কারণ, এই ধরনের পানীয়ে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তবে বাড়িতে ফলের রস করে খেলে সবচেয়ে উপকারী। ফলের রসে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। সুস্থ থাকতে আপেল, গাজর, পালং শাকের মতো স্বাস্থ্যকর সব্জিগুলিতে ভরসা রাখতে পারেন।