শিশুদের স্নান সংক্রান্ত নানা ভ্রান্ত ধারণা এখনই দূর করা প্রয়োজন।
সদ্যোজাত শিশুদের স্নান করনো নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ কেউ মনে করেন, শিশুকে রোজ স্নান করানো উচিত, কারও আবার ধারণা শিশুদের মাথায় রোজ জল দিলে তা তার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। শীতকালে শিশুদের শরীর বিশেষ ঘামে না, তাই অনেক অবিভাবকই মনে করেন, সেই সময় শিশুদের স্নান না করালেও চলবে। শিশুদের স্নান সংক্রান্ত নানা ভ্রান্ত ধারণা এখনই দূর করা প্রয়োজন। জেনে নিন সেগুলি কী কী?
১) সদ্যোজাত শিশুকে রোজ স্নান করানো উচিত
বড়দের পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়মিত স্নান করার অভ্যাস ভাল, তবে সদ্যোজাত শিশুদের নিয়মিত স্নান না করালেও চলে। শিশুর জন্মের পর ১০ দিন শিশুকে স্নান না করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সে ক’দিন তাদের স্পঞ্জ করালেই যথেষ্ট। এই সময় শিশুদের আম্বালি কর্ড অঞ্চল শুকনো রাখাই শ্রেয়। দশদিন পর থেকে সপ্তাহে দু’বার শিশুদের স্নান করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
প্রতীকী ছবি।
২) তিন থেকে চার বছর বয়সের শিশুরা নিজেই স্নান করতে পারে
অনেক অবিভাবকই শিশুদের আত্মনির্ভর করার জন্য ছোট বয়স থেকেই একা স্নান করার প্রতি উৎসাহ দেন। তিন থেকে চার বছর বয়সি শিশুদের একা স্নান করতে পাঠানো ঠিক নয়। শৌচাগারে শিশুদের নানা অঘটন ঘটতে পারে। তারা সাবান কিংবা শ্যাম্পু খেয়ে ফেলতে পারে, অত্যধিক গরম জল ঢেলে ফেলতে পারে, কিংবা পা পিছলে পড়েও যেতে পারে।
৩) শীতকালে শিশুদের রোজ স্নান না করালেও চলে
শিশুর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে রোজ স্নান করাতে চান না মায়েরা। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এর ফলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে শিশু। শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। তাই বড়দের মতো শিশুদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরেও জলের প্রয়োজন হয়। নিয়মিত স্নান না করালে শিশুদের ত্বকে যেমন সমস্যা হতে পারে, তেমনই প্রতি দিনের ঘাম জমেও ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রতি দিন অবশ্যই স্নান করান, তবে ঈষদুষ্ণ জলে।