পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কড়া ডায়েট শুরু করেছেন কেউ কেউ। ছবি: সংগৃহীত।
স্থূলত্বের কারণে শরীরে বাসা বেঁধেছে একাধিক রোগব্যাধি! চিকিৎসকদের দাবি, ওজন না কমালে রোগবালাই থেকে নিস্তার পাওয়া অসম্ভব। অগত্যা পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কড়া ডায়েট শুরু করেছেন কেউ কেউ। অনেকেই আছেন, যাঁরা ডায়েট চলাকালীন সময় সুযোগ পেলেই ওজন মেশিনে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। কতটুকু ওজন কমল, তা দেখার কৌতূহল সকলেরই থাকে। কিন্তু সমস্যা হল, যেখানে যত বার ওজন মাপছেন, প্রত্যেক জায়গাতেই এক এক রকম সংখ্যা ফুটে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে ওজন যদি বেশি দেখে অনেকেরই মনে হয় যন্ত্রটির কোনও দোষ রয়েছে। আবার কম দেখালে মনে এতটাই আনন্দ হয় যে, ডায়েট ভুলে আইসক্রিম খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাও তৈরি হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট পরিষ্কার করার পরেই ওজন মাপা উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলেন, ওজন মাপার কিন্তু নির্দিষ্ট সময় এবং পদ্ধতি আছে। তাই যখন খুশি, যেখানে খুশি ওজন মেপে নিলেই যে সঠিক পরিমাপ দেখাবে এমনটা কিন্তু নয়।
ওজন পরিমাপের সঠিক সময় কোনটি?
চিকিৎসকদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে পেট পরিষ্কার করে জল, চা, কফি কিংবা ওষুধ খাওয়ার আগেই ওজন মাপা উচিত। ওই সময় ওজন পরিমাপ করলে অপাচ্য খাদ্যের বাড়তি ওজন দেখায় না যন্ত্রে। এই ভাবে ওজন মাপলে দেহের বাড়তি ওজন আসার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
অনেকের স্বভাব থাকে রোজ রোজ ওজন মেপে দেখার। চিকিৎসকদের মতে, প্রতি মাসে এক বার করে ওজন মাপাই শ্রেয়। খুব ইচ্ছে হলে সপ্তাহে এক বার করে ওজন মাপতে পারেন। আগের দিন কী খাচ্ছেন, কতটা জল খাচ্ছেন, কোনও নতুন ওষুধ খেয়েছেন কি না, সারা দিন কতটা কায়িক পরিশ্রম করছেন— এ সবের উপর প্রতি দিনের ওজন হেরফের করে।