প্রতীকী ছবি।
সন্তানের জন্মের পরে অবসাদে ভুগছেন মা? এ কথা শুনে এখন আর অবাক হবেন না অনেকেই। এতদিনে এই ধরনের অবসাদের কথা যথেষ্ট প্রচলিত। কিন্তু বাবাও যে একই রোগে ভুগতে পারেন, সে কথা কি জানেন?
ইংরেজিতে এই সমস্যাকে বলে ‘পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন’। শিশুর জন্মের পরে চারপাশের অনেক কিছুই বদলে যায়। মায়েদের জীবন একেবারেই সন্তানকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। এত বদলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চাপ অনেক ক্ষেত্রে ডেকে আনে অবসাদ।
তবে একই কারণে এমন অবসাদের ভুগতে পারেন বাবারাও। সন্তানের জন্মের পরে শারীরিক ভাবে তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও বদল আসে না। তবে রোজের জীবনধারা একেবারেই বদলে যায়। রাতের পর রাত জেগে থাকা। নিজের পছন্দের কাজ করতে না পারা। স্ত্রী ব্যস্ত থাকেন শিশুকে নিয়ে। ফলে প্রয়োজনের সময়েও নিজের সঙ্গীকে বিশেষ কাছে পাওয়া যায় না। তার উপরে থাকে সন্তানের প্রতি সব দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করার চাপ। সবে মিলে নবজাতকের বাবার মনের উপরে পড়ে অনেকটা চাপ। তার জেরে কেউ কেউ ভোগেন অবসাদে।
প্রতীকী ছবি।
এই ধরনের অবসাদের কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে পুরুষদের মধ্যে?
সন্তানের জন্মের পরে ক্লান্তি অনেকের মধ্যেই আসে। কিন্তু তা যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে, তবে ভেবে দেখা প্রয়োজন। এই অবসাদের উপসর্গ এক-এক জনের ক্ষেত্রে এক-এক রকম। কারও খিদের বোধ কমে যায়, কারও আবার দ্রুত ওজন কমতে থাকে। সর্বক্ষণ মন খারাপ, ঘুম না আসা, বিনা কারণেই অপরাধবোধ এবং বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে।
এই ধরনের অবসাদের সমস্যায় কি ভুগতে পারেন যে কেউই?
কে কখন অসুস্থ হয়ে পড়বেন, তা অবশ্যই আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। তবে যাঁদের পরিবারে অন্য কেউ মানসিক অসুখে ভুগেছেন, তেমন পুরুষদের মধ্যে এই অসুখ বেশি দেখা যায়। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলেও সন্তানের জন্মের পরে অবসাদে ভোগেন কিছু মানুষ।
এমন কোনও উপসর্গ যদি কারও ক্ষেত্রে দেখা যায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে না যেতে ইচ্ছা করলে অন্তত অন্য বাবাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যেতে পারে। তা হলেও খানিকটা সামলে নেওয়া যায় এই পরিস্থিতি।