পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির গ্যাসের সমস্যা বারো মাস লেগেই থাকে। তবে বর্ষায় যেন বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত বেশি হয়। বর্ষা মানেই বাড়িতে ভাজাভুজি খাওয়ার চল বাড়ে। গরমাগরম চায়ের সঙ্গে চপ, পকোড়া, শিঙাড়া খাওয়ার হার এ মরসুমে বেড়ে যায়। এ ছাড়াও, রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস, অত্যধিক মানসিক চাপ ও উদ্বেগ, শরীরচর্চায় অনীহা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব— এ সবের কারণেও কিন্তু বদহজমের সমস্যা হয়। পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত কিন্তু বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখেন চায়ের উপর। আর পাঁচ জনের কাছে চা যেখানে সকাল শুরুর অভ্যাস আর বিকেলে ক্লান্তি কাটানোর উপায়, মাসাবার কাছে কিন্তু চা মানে মহাঔষধ।
মাঝমধ্যেই মাসাবা তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় শরীর ফিট ও চাঙ্গা রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। সম্প্রতি তিনি বদহজম থেকে রেহাই পাওয়ার দাওয়াইয়ের হদিস দিয়েছেন। বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মাসাবা নিয়ম করে চা খান। কোন চায়ে হবে মুশকিল আসান?
গ্যাসের সমস্যা দূর করার পথ দেখালেন মাসাবা। ছবি: সংগৃহীত।
দু’লিটার জলে ৪ টেবিল চামচ জিরা, ৪ টেবিল চামচ গোটা ধনে, ৪ টেবিল চামচ মৌরি, ৪টে ছোট এলাচ, ১/৪ টেবিল চামচ জোয়ান ভাল করে ফুটিয়ে নিন। জল কমে দেড় লিটার হয়ে এলে ছেঁকে রেখে দিন। মাসাবা সকালে খালি পেটে এবং সকাল, বিকেল ও রাতে খাওয়ার ঠিক আগে এই চায়ে চুমুক দেন। গ্যাসের সমস্যা কমাতে এবং বর্ষায় বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এই পানীয় বেশ কার্যকর।