Rare Disease

বিরল ফার্স্ট বাইট সিনড্রোমে আক্রান্ত নদিয়ার যুবক! প্রাণনাশক কি এই রোগ? সতর্ক হবেন কী ভাবে?

পৃথিবীতে ফার্স্ট বাইট সিনড্রোমের শিকার মাত্র সাত জন। সম্প্রতি বিরলতম এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন নদিয়ার বাসিন্দা বছর চল্লিশের দেবব্রত বিশ্বাস। কী এই রোগ?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ১৮:৪২
Share:

খাবারে কামড় দিতেই সমস্যা! ছবি: সংগৃহীত।

খাবারে কামড় দিতেই সমস্যা! খেতে গেলেই বিপত্তি! খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত এই রোগকে চিকিসকদের পরিভাষায় বলে ফার্স্ট বাইট সিনড্রোম। এ ক্ষেত্রে প্রথম কোনও খাবারে কামড় দিতে গেলেই কান, এক পাশের চোয়াল ঝন ঝন করে ব‌্যথায়। মূলত চোয়ালের নিম্নভাগ থেকেই শুরু হয়ে যায় খিঁচ ধরার অনুভূতি। আবার খেতে খেতে সেই ব্যথা নিজে থেকেই গায়েব হয়ে যায়।

Advertisement

পৃথিবীতে ফার্স্ট বাইট সিনড্রোমের শিকার মাত্র সাত জন। সম্প্রতি এই বিরল রোগেই আক্রান্ত হয়েছেন নদিয়ার বাসিন্দা বছর চল্লিশের দেবব্রত বিশ্বাস। তিনি বিশ্বে সপ্তম। ঠিক কী কারণে দেবব্রত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তা চিকিৎসকেরা এখন ধরতে পারেননি। যে ফার্স্ট বাইট সিন্ড্রোমের নেপথ্যে কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, তা ইডিয়োপ‌্যাথিক ফার্স্ট বাইট সিন্ড্রোম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

কাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি?

Advertisement

১. মাথা কিংবা ঘাড়ের ক্যানসারের জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছে

২. মাথায় কিংবা ঘাড়ে টিউমার হয়েছে

৩. কান ও চোয়ালের সংযোগস্থলে অবস্থিত প্যারোটিড গ্রন্থিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে

৪. গলার কাছে ক্যারোটিড বডি টিউমারের অস্ত্রোপচার হয়েছে

এই ধরনের অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন, কয়েক মাস কিংবা কয়েক বছর পরেও ফার্স্ট বাইট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হতে পারেন রোগী। তবে উপরে উল্লেখিত অস্ত্রোপচার হলেই যে রোগীর ফার্স্ট বাইট সিন্ড্রোম হবে এমন কোনও অর্থ নেই। চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত কান আর চোয়ালের সংযোগস্থলের ‘প্রিঅরিকুলার রিজিয়নে’ কোনও রকম অস্ত্রোপচারের ফলে কোনও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেই ফার্স্ট বাইট সিন্ড্রোম হয়।

এই রোগের উপসর্গ কী?

১. খাওয়ার সময়ে চোয়ালের এক পাশে অস্বস্থি

২. ক্লান্তি ভাব

৩. উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদ

কী ভাবে এই রোগের চিকিৎসা হয়?

প্যারোটিড গ্রন্থিতে বোটক্স ট্রিটমেন্ট করিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। এই রোগের ক্ষেত্রে একাধিক সেশনের প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণ ব‌্যথানাশক ট‌্যাবলেটে এ ক্ষেত্রে কাজ হবে না। কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেও চিকিৎসকেরা রোগীর যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা করেন। এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে অতিরিক্ত টক কিংবা অম্লজাতীয় কোনও খাবার খেতে বারণ করা হয়। যে দিকে যন্ত্রণা হচ্ছে, সে দিকে খাবার চিবোতে বারণ করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে খুব অল্প দিনেই এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। কখনও আবার এই রোগের কারণে অনেক দিন ধরে ভোগান্তি হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement