Weight Loss Tips

দিনের পর দিন ডায়েট করেও ওজন কমছে না? অজান্তেই ৫ ভুল করে ফেলছেন না তো?

ডায়েট করেও ওজন ঝরছে না? জেনে নিন, ডায়েট মেনে চললেও কোন অভ্যাসগুলি ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫১
Share:

ওজন না কমার ৫ কারণ। ছবি: শাটারস্টক।

খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না করলে ওজন কমানো সম্ভব নয়। শরীরে মেদ জমা হয় খাওয়াদাওয়ার বেনিয়মেই। সেই বাড়তি ওজন ঝরাতে রাশ টানতে হবে খাওয়াদাওয়াতেই। ছিপছিপে হতে তাই কমবেশি সকলেই ভরসা রাখেন ডায়েটে। রোগা হওয়ার পরিকল্পনা করলেই প্রায় উপোস করার পথে হাঁটতে শুরু করেন কেউ কেউ। তাতে অবশ্য লাভ কিছু হয় না। বরং ক্ষতি হয় যথেষ্ট। ডায়েট করেও ওজন ঝরে না। জেনে নিন, ডায়েট মেনে চললেও কোন অভ্যাসগুলি ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement

১) মেদ ঝরানোর পর্বে প্রোবায়োটিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরে প্রোবায়োটিকের ঘাটতি হলে ওজন কমানো মুশকিল হয়ে পড়ে। দইয়ে প্রোবায়োটিক সবচেয়ে বেশি থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোবায়োটিক খেতেই হবে। রোজ নিয়ম করে দই, দইয়ের ঘোল, দই দিয়ে বানানো ফ্রুট স্যালাড বেশি করে ডায়েটে রাখুন।

২) ওজন কমানোর জন্য শুধু কড়া ডায়েট মানলেই হবে না, জলও খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। নিয়ম মেনে ডায়েট করলেও জল খেতে ভুলে যান অনেকেই। জল কম খেলে হজম ভাল হয় না। রোগা হওয়ার জন্য হজম ঠিকঠাক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খাওয়ার অভ্যাস ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজ বেশি করে জল খেতে হবে। এ ছাড়া, জল বেশি আছে এমন ফল, ফলের রস খাওয়া যায়।

Advertisement

৩) সকালে উঠে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকা সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। এতে ওজন তো কমেই না, উল্টে বেড়ে যায়। উপোস করে থেকে ওজন কমানোর পরিকল্পনা একেবারেই ভুল। বরং সময় মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন ঝরানো যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সকালের খাবার এড়িয়ে গেলে চলবে না।

৪) ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট করতে গিয়ে মিষ্টি, কেক-পেস্ট্রি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন, অথচ রোজ সকালে চিনি দেওয়া চা, এমনকি, রান্নাতেও চিনি ব্যবহার করছেন। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে সবার আগে চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

৫) খুব বেশি কড়া ডায়েট যেমন কিটো ডায়েট কিংবা ক্র্যাশ ডায়েট করে ওজন ঝরানোর তুলনায় পুষ্টিবিদেরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন বেশি। তবে কেবল ডায়েট নয়, সঙ্গে অবশ্যই শরীরচর্চাও করতে হবে। জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভারী শরীরচর্চা না করলেও হাঁটাহাঁটি, জগিং, কার্ডিয়ো, যোগাসনের মতো হালকা ব্যায়াম কিন্তু করতেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement