মাধুরী দীক্ষিত এবং তাঁর স্বামী চিকিৎসক শ্রীরাম নেনে। ছবি: সংগৃহীত।
জলের ঘাটতি থেকেই বহু শারীরিক সমস্যার সূত্রপাত। জল কম খাওয়া মানেই একটু একটু করে অসুস্থতার দিকে এগিয়ে যাওয়া। সুস্থ থাকতে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তা ছাড়া জল যে শুধু শরীরের ক্ষয়ক্ষতি আটকায়, তা তো নয়। ত্বকের সতেজতা ধরে রাখতেও জলের ভূমিকা অনবদ্য। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সারা দিনে কমপক্ষে ২-৩ লিটার জল খাওয়া বাধ্যতামূলক। এর ফলে অনেক রোগবালাই সহজেই দূরে চলে যায়। দীর্ঘায়ু পেতেও জল অন্যতম ভরসা। তেমনটাই জানাচ্ছেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের স্বামী চিকিৎসক শ্রীরাম নেনে। শ্রীরামের মতে, জল-ই যদি সুস্থ থাকার মন্ত্র হয়ে ওঠে, তা হলে অসুস্থতা ছুঁতে পারবে না। সুস্থ থাকতে জলের এত ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও ব্যস্ততার কারণে জল খাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা সব সময় পূরণ করা সম্ভব হয় না। ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। শরীরের অন্দরের এই কার্যকলাপ বাইরে থেকে বোঝা সব সময় সম্ভব নয়। চিকিৎসক নেনে জানাচ্ছেন, শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হলে তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। জেনে রাখলে সতর্ক হওয়া যাবে। কোন লক্ষণগুলি দেখলে জল খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে? সেটাও জানিয়ে দিলেন তিনি।
১) শরীরে জলের অভাব হলে গরমকালেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে।
২) প্রস্রাবের রং লক্ষ করুন। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।
৩) শরীরে জলের ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়। জল মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৪) ডিহাইড্রেশন হলে ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়। বার বার জল খেলেও শরীরে জল জমে থাকতে পারে না। সাধারণ জলের পরিবর্তে লেবু-জল বা ইলেক্ট্রল দ্রবণযুক্ত জল পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৫) শরীরে জলের অভাব হলে অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অকারণে মাথাব্যথাও হতে পারে। সারা ক্ষণ আলস্য ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।