ডায়েটের জন্যেই কি চুল পড়ার সমস্যা বেড়েছে? ছবি: শাটারস্টক।
চুলে চিরুনি দিলেই মুঠো মুঠো পড়ে যাচ্ছে। দেখেই মনে হচ্ছে, এ ভাবে চলতে থাকলে এক দিন গোটা মাথাই গড়ের মাঠ হয়ে যাবে। নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়ার পরেও সমস্যা মিটছে না। নামী-দামি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সিরাম ব্যবহার করেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট শুরু করার পর সমস্যা যেন আরও বেশি বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু এমন কেন হয়, তা কি জানেন?
চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে কেবল যত্ন করলেই হবে না, নজর দিতে হবে চুলের পুষ্টির দিকেও। ডায়েট করলে মূলত কার্বোহাইড্রেট ও বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবারে কাটছাট করতে হয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা। ডায়েট করার সময় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভাল ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটলেই বিপাক হার কমে যায়, শরীরে রক্ত চলাচল ও অক্সিজ়েন সঞ্চালন ব্যহত হয়। চুলের গোড়াতেও ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন হয় না। ফলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। এ ছাড়া ডায়েট অনেকেই বাধ্য হয়ে করেন। হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলে, পছন্দের খাবার খেতে না পারায় অনেকেই অবসাদে ভোগেন। মানসিক চাপের কারণেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
সমাধান কোন পথে?
১) ডায়েট থেকে ক্যালোরির মাত্রা অত্যধিক কমিয়ে দেবেন না। দৈনিক কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান কিন্তু ক্যালোরি থেকেই আসে। ক্যালোরির ঘাটতি হলে মানসিক সাপ বাড়ে, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, সব মিলিয়ে চুল পড়ার সমস্যা শুরু হয়।
ডায়েট থেকে ক্যালোরির মাত্রা অত্যধিক কমিয়ে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
২) চটজলদি ওজন কমাতে খুব বেশি কড়া ডায়েট করবেন না, এতে শরীরের বেশি ক্ষতি হয়। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করুন, তা হলে শরীরে সব প্রয়োজনীয় উপাদানের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। ক্র্যাশ ডায়েট করলেই চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে।
৩) ডায়েট করলে জলের সঙ্গে আপস করলে চলবে না। ডায়েটে বেশি করে জল রাখতে হবে। ডাবের জল, ফলের রস, দইয়ের ঘোল এগুলি বেশি করে খেতে হবে।