যে সব ক্যানসারের প্রকোপ আমাদের দেশে বেশি, তার মধ্যে কোলন ক্যানসার অন্যতম। ছবি: শাটারস্টক।
কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার পরিসর সকলেরই কম। তার উপর কাজের চাপে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন মারণরোগ। তারই মধ্যে অন্যতম হল কোলন ক্যানসার। যে সব ক্যানসারের প্রকোপ আমাদের দেশে বেশি, তার মধ্যে কোলন ক্যানসার অন্যতম।
বৃহদান্ত্রের কোষগুলির বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হারে হলে এই অসুখের ছায়া নেমে আসে শরীরে। অন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী কোনও মাংসল অংশের বৃদ্ধি এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি কারণে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত, পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকলেও ইদানীং এই প্রবণতা বদলাচ্ছে। কমবয়সিদের জীবনেও এই অসুখ থাবা বসাচ্ছে। তবে কিছু উপসর্গ জানা থাকলে রোগের শুরুতেই চিকিৎসা করানো যায় ও সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে।
কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
যদি মাঝবয়সে মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যায়, পর্যাক্রমে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য শুরু হয়, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ক্যানসারের উপসর্গ হিসেবে অনেক সময় মলের সঙ্গে রক্ত বেরোতে পারে, বেশির ভাগ মানুষই যা পাইল্স বলে ভুল করেন। এ ছাড়া পেটে অস্বস্তি (ক্রনিক গ্যাস, খিঁচুনির মতো পেটে ব্যথা), হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, খিদের বোধ কমে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
রোজকার খাবারে পর্যাপ্ত টাটকা ফলমূল, শাকসব্জি, ভূষি-সহ আটার রুটি, ওটস, মিলেট থাকা দরকার।
এড়াবেন কী ভাবে?
চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ, রেড মিট খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ, ঠিক সময় অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা, এ সব মূল শারীরিক নিয়মনীতি মেনে চললেই এই অসুখের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যায় অনেকটা। রোজকার খাবারে পর্যাপ্ত টাটকা ফলমূল, শাকসব্জি, ভূষিসহ আটার রুটি, ওটস, মিলেট থাকা দরকার।