Ayurved

ঐশ্বরিক চেহারার অধিকারী হতে চান? আয়ুর্বেদ দিনচর্যাতেই রয়েছে সব রহস্যের উত্তর, জানাচ্ছেন প্রখ্যাত আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেন, পরম্পরা আয়ুর্বেদ

‘দিনচর্যা’ একটি সংস্কৃত শব্দ; এর অর্থ প্রতিদিনের রুটিন বা ২৪ ঘণ্টার রুটিন। এই শব্দটিকে দৈনন্দিন রুটিনের একটি ধারণা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ১২:১০
Share:

ডাঃ দেবব্রত সেন

পেটানো শরীর, পেশিবহুল হাত, চওড়া কাঁধ, ঢেউ খেলানো একমাথা চুল, এক মুখ মিষ্টি হাসি, আধুনিক স্টাইলিস্ট বিয়ার্ড, এমন চেহারাই তো সবার স্বপ্ন। কিন্তু বর্তমানে এমন ঐশ্বরিক চেহারার দেখা কখনও কখনও মেলে। আধুনিক জীবনযাপনের কারণে এই কাঙ্খিত শরীর অর্জন করা কি সত্যিই কঠিন? কী ভাবে এমন সুঠাম চেহারার অধিকারী হলেন ডাঃ দেবব্রত সেন? কী ভাবেই বা সেই নির্মেদ পেশিবহুল এবং ফিট শরীর দিনের পর দিন ধরে রেখেছেন আয়ুর্বেদাচার্য? রইল তাঁর আয়ুর্বেদের গোপণ রহস্য। কী ভাবে আয়ুর্বেদকে সঙ্গী করে নিজের চলার পথ বেছে নিয়েছেন ডাঃ দেবব্রত সেন, তা শিখে নিন আপনারাও।

ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, তথাকথিত প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট বা ক্ষতিকারক বিভিন্ন হেলথ ড্রিংকসের বাইরে বেরিয়ে এসে আযুর্বেদিক দিনচর্যা, ঋতুচর্যার পাশাপাশি সঠিক আয়ুর্বেদিক ভেষজের হাত ধরে সহজেই পেশিবহুল ফিট চেহারা ধরে রাখা যেতে পারে।

ডাঃ সেনের মতে, যে কোনও ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পথ একটাই। সঠিক নিয়মানুবর্তিতা। এই নিয়মানুবর্তিতা তিনি তাঁর নিজের জীবনেও অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। আজ পর্যন্ত ডাঃ সেন কোনও পার্টিতে যাননি। তিনি কোনও ক্লাবের সদস্য নন। তাঁর স্বচ্ছ ও সহজ জীবনযাত্রাই বলে দেয় যে তার দায়িত্বশীল জীবনযাত্রার কথা। ডাঃ দেবব্রত সেনের গ্ল্যামার, চুলের স্টাইল ও ফিট শরীরের নেপথ্যে থাকা গল্পের সঙ্গে কোনওভাবেই কেউ দ্বিমত হতে পারেন না।

সত্যিই তো! দিনের পর দিন ডাঃ সেন এই সমাজকে শিখিয়ে চলেছেন সুস্থতার কথা। নায়ক বা মডেল হতে হতে কোনও এক অজানা কারণে তিনি আজ আয়ুর্বেদাচার্য। তাঁকে কাছ দেখে মনে হয়, কোনও গ্রিক দেবতাকে ডাঃ দেবব্রত সেনের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একাকার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কাছ থেকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা এক বাক্যে এই কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।

আদ্যান্ত বাঙালি। বাঙালি খাবারই তার প্রিয়। একসময় তাঁর ওজন ছিল ১০০ কেজিরও উপরে। কিন্তু সেখান থেকে কঠোর সাধনার মাধ্যমে নিজেকে স্লিম এবং ট্রিম করে তুলেছেন ডাঃ সেন। নেপথ্যে সেই আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা তথাকথিত হেলথ সাপ্লিমেন্টকে এক ধাক্কায় কয়েক ক্রোশ দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে ডাঃ সেন বলেন, “আমরা জানি, হেলথ সাপ্লিমেন্ট সবার জন্য উপকারী নয়। অতিরিক্ত প্রোটিন রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কিডনির উপরে প্রভাব ফেলে। অথচ আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, দিনচর্যা ও ঋতুচর্যার মাধ্যমে সেই কাঙ্খিত ফিটনেস খুব সহজেই পাওয়া যায়। এবং এর পাশাপাশি দারুন কঠোর সাধনার মাধ্যমে একটি দারুন শরীর বানিয়ে তুলতেই পারি।”

ডাঃ সেন এখনও সেই বাঙালি খাবার ভালবাসেন। খান বাঙালি খাবারই। কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের পাশাপাশি তিনি প্রোটিন জাতীয় ডায়েটও পছন্দ করেন। তাঁর ডায়েটে থাকে ডিম, চিকেন, ভাত, রুটি, ভুট্টা এবং অবশ্যই একটি মরসুমি ফল। যেদিন চিকেন খাওয়া হবে, সেদিন কোনওরকম দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া চলবে না। এমনকি দই পর্যন্ত না। না হলে পরিপাকে সমস্যা হতে পারে। ডাঃ সেনের সকাল থেকে রাত, শৃঙ্খলায় মোড়া। তিনি ডায়েট ও শরীরচর্চার রুটিন বেশ কঠোরভাবে মেনে চলেন। কোনওদিন রুটিনের অন্যথা হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত জিম ও সুইমিং পুলে তিনি রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। ওয়ার্কাউটের সময় তিনি যেন নিজের অন্তঃরাত্মাকে খুঁজে পান। কারণ জিমে মন ভাল করার হরমোন ক্ষরণ হয়। এই শৃঙ্খলাই ডাঃ সেনের জীবন থেকে সারাদিনের এত ব্যস্ততার মধ্যেও কোনও চাপ, উদ্বেগ ও সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখে। নিজের পেশায় যত ব্যস্ততাই থাকুন না কেন কোনওভাবেই তিনি ওয়ার্কআউট মিস করেন না।

নিজস্ব জিমে ডাঃ দেবব্রত সেনের ওয়ার্কআউট সেশন

আয়ুর্বেদাচার্য জানাচ্ছেন, নতুন প্রজন্মের যাঁরা জিমে যান, তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই নেটমাধ্যমে ভুল গাইডেন্সের কারণে পেশিতে চোট পান। বা ক্ষতি হয়। তাই সঠিক ট্রেনার ছাড়া পাওয়ার লিফ্টিং বা জিম নৈবঃ নৈবঃ চঃ। তার থেকে বরং সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, কার্ডিয়ো সেশন ইত্যাদি করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ট্রেডমিলে দৌঁড়ানোর থেকে হাঁটা অনেক বেশি উপকারি।

ডাঃ সেন মনে করেন জীবনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ক্লাসের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া খুব সহজ। কিন্তু প্রতি বছর প্রথম স্থান বজায় রাখা অত্যন্ত কঠিন। যেখানে ধারাবাহিকতা রয়েছে, সেখানে ফল আসতে বাধ্য। ওয়ার্কআউট, ফিটনেস বা আয়ুর্বেদিক ভেষজ সেবন করার ক্ষেত্রে নিয়মাবর্তীতা ও ধারাবাহিকতা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন সপ্তাহে একদিন জিমে গেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফিট হয়ে যান না, ঠিক তেমনই আয়ুর্বেদিক ওষুধ একদিন সেবন করেই যদি কেউ মনে করে কাল থেকেই ফল আসবে, তা হলে সেই ব্যক্তি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।

ডাঃ সেন খেলাধুলা করতেও বেশ ভালবাসেন। সময় পেলেই ব্যাট হাতে বা ফুটবল পায়ে নেমে পড়েন মাঠে। যদিও তাঁর প্রিয় খেলা ক্রিকেট। প্রতি বছর পরম্পরা পরিবারের তরফে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এবং শেষ তিন বছর ডাঃ সেন সেখানে ম্যান অব দ্য ম্যাচের সম্মান পেয়েছেন।

কথায় আছে 'স্বাস্থ্যই সম্পদ'। মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বের প্রত্যেক মানুষ এই শব্দবন্ধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। যে কোনও মানুষই তাঁর প্রতিদিনের রুটিনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে চান। যদিও হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে সেই রুটিন মেনে চলার সময় অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের লক্ষ্যে অনেকেই ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি তথা আয়ুর্বেদের উপর ভরসা রাখছেন। মনে করা হয়, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে আয়ুর্বেদ দিনচর্যা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুশীলন একটি নিরাপদ বিকল্প হতে পারে। চিকিৎসক আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেন এই দিনচর্যা অনুসরণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

জানুন ডাঃ দেবব্রত সেনের সুঠাম চেহারার রহস্য

‘দিনচর্যা’ একটি সংস্কৃত শব্দ; এর অর্থ প্রতিদিনের রুটিন বা ২৪ ঘণ্টার রুটিন। এই শব্দটিকে দৈনন্দিন রুটিনের একটি ধারণা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যা আদতে আমাদের অভ্যন্তরীণ শারীরবৃত্তিয় ঘড়ির সঙ্গে আমাদের কার্যকলাপকে সংযুক্ত করার জন্যেই তৈরি করা হয়েছে। এটি অনুসরণ করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডাঃ দেবব্রত সেনের মতে কী ভাবে আয়ুর্বেদিক দিনচর্যা অনুসরণ করবেন তা সম্পর্কে এখানে একটি বিশদ নির্দেশিকা দেওয়া হল —

  1. ভোর ৫:৩০ থেকে ৬:০০টার মধ্যে ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।
  2. সকালে যে কোনও ধরনের শরীরচর্চা বা কার্ডিও করা খুব উপকারি। এতে ঘামের মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
  3. বিশ্রামের সময় ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতক্ষণই ঘুমোন না কেন, বিছানা ছেড়ে ওঠার পরে আপনার ক্লান্তি বোধ করা উচিত নয়।
  4. প্রতিদিন যতটা সম্ভব হাঁটুন।
  5. আপনার কাজ, আপনার শোওয়ার সময় এবং খাওয়ার সময়গুলির একটি দৈনিক সময়সূচী তৈরি করুন। যতটা সম্ভব ওই সময়সূচী অনুযায়ীই কাজ করার চেষ্টা করুন।
  6. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে আমাদের শরীরের ভিতরে দূষিত পদার্থ বা টক্সিন জমা হতে থাকে। যত দ্রুত সম্ভব দেহকে টক্সিন মুক্ত করুন।
  7. নিশ্চিত করুন যে আপনার হৃদয় সুস্থ রয়েছে।
  8. আয়ুর্বেদিক মতে ‘ষট্ কর্ম’-এর নীতি অনুসরণ করুন। যা আপনার শরীর, আত্মা এবং মনকে অন্তঃস্থল থেকে পরিষ্কার করে।
  9. আপনার শরীর ম্যাসেজ করতে আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করুন।
  10. প্রতিদিন যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলন করুন।
  11. আয়ুর্বেদ মতে দিনে ঘুমানো উচিত নয়। এতে শরীরে ক্লান্তির সৃষ্টি হয়। ক্লান্তি থেকে মেজাজ খারাপ হতে পারে এবং এটি মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদ মতে দিবানিদ্রার কারণে কফের আধিক্য বাড়ে। তা থেকে বাতের ব্যথা এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও সৃষ্টি হয়।

ডাঃ দেবব্রত সেন উল্লেখ করেছেন যে আয়ুর্বেদিক দিনচর্যা অনুসরণ করে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাই নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ডায়েটের প্রতিও সচেতন হওয়া যায়। এবং এটি দীর্ঘকালীন সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। বেদ মতে, প্রতিটি আয়ুর্বেদিক খাবার গ্রহণের সঙ্গে শারীরিক ভারসাম্যের যোগ রয়েছে। পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেন আয়ুর্বেদিক ঔষধির উপর ভিত্তি করে একটি আয়ুর্বেদিক ডায়েটের পরিকল্পনা তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, “আয়ুর্বেদে প্রায় প্রত্যেকটি ভেষজেরই ঔষধিগুণ রয়েছে। কিন্তু কোনও কোনও ওষুধের বেশি ব্যবহারে হিতে বিপরীত ফলও হতে পারে। সুতরাং ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শরীরচর্চায় নিজস্ব জিমে ব্যস্ত ডাঃ দেবব্রত সেন

আয়ুর্বেদিক ডায়েট আমাদের ত্রিদোষ অর্থাৎ বাত, পিত্ত বা কফের উপর ভিত্তি করে কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়ানো উচিত তার একটি তালিকা প্রদান করে। আবার আয়ুর্বেদিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ না করলে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের তৈরি হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে দুর্বল জ্ঞান, খিটখিটে মেজাজ এবং ঘুমের সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদরোগ সহ অন্যান্য মারাত্বক রোগ।”

এখানে কিছু নিয়ম দেওয়া হল যা আয়ুর্বেদিক ডায়েট করার সময় অনুসরণ করা উচিত। ডাঃ দেবব্রত সেনের মতে এটি দিনচর্যারই একটি অংশ।

  1. রাতে ১০:৩০ টার মধ্যে ঘুমোতে যান। কারণ প্রত্যেক মানুষেরই ন্যূনতম ৭ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম প্রয়োজন। আবার বেশি ঘুমের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
  2. রাতে খাবার খাওয়ার পরে বিছানায় যাওয়ার জন্য অন্তত দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
  3. উষ্ণ জল আমাদের শরীরে একটি স্বাস্থ্যকর বিপাকক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালও। তাই হালকা গরম জল দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন।
  4. সকালে দাঁত ব্রাশ করার সময় অবশ্যই জিহ্বা পরিষ্কার করুন।
  5. আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন আপনার পেট পরিষ্কার করতে হবে।
  6. প্রাতঃরাশে গরম রান্না করা খাবার খান। অন্যদিকে ঠান্ডা জুস বা ঠান্ডা দুধ এড়িয়ে চলুন। আয়ুর্বেদিক ডায়েটে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সন্ধ্যায় বা রাতে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  7. দুপুরের লাঞ্চ ব্রেকে মরসুমি ফল খান। যাদের কফের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা একটি আপেল খেতে পারেন। যাদের পিত্ত বেশি, তাঁরা একটি কমলালেবু খেতে পারেন এবং যাঁদের বাতের ধাত আছে তাঁরা আম খেতে পারেন। মনে রাখবেন যে সূর্যাস্তের পরে কোনও ফল খাওয়া উচিত নয়।
  8. আপনার ডায়েটে ব্রাউন রাইস এবং দই রাখুন। তবে সূর্যাস্তের পরে দই খাবেন না।
  9. যখনই সম্পূর্ণরূপে খিদে পাবে, তখনই খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খিদে পেল না, অথচ খাওয়া হল, সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে রাতে ভরপেট খাওয়া উচিত নয়।
  10. আয়ুর্বেদে, চিকিৎসার অংশ হিসাবে সঠিক পরিমাণে মাংস বা অন্য আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  11. শৃঙ্খলা হল অন্যতম সুস্থ শরীরের প্রধান চাবিকাঠি। যা আয়ুর্বেদিক দিনচর্যা এবং খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করার সময় মেনে চলা উচিত।

তাঁর সুস্থ শরীরের রহস্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেছেন যে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ উভয়ই আমাদের জন্য প্রয়োজন এবং এগুলির নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, “আমি বলব, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে যেমন গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যায় আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ওষুধের মাধ্যমে ভালোভাবে নিরাময় করা যায়। আয়ুর্বেদিক ওষুধের জন্য, এই নিরাময় প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময় নেয়। তবে তা সমস্ত দীর্ঘস্থায়ী রোগকে সমূলে নিরাময় করতে সক্ষম।”

আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেনের ক্লিনিক এবং তাঁর পরামর্শ সমগ্র ভারত জুড়ে উপলব্ধ। ইতিমধ্যেই দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছেন এবং পরম্পরা আয়ুর্বেদের ওষুধের সাহায্যে সুস্থ রয়েছেন।

বিশদে জানতে ক্লিক করুন – www.drdebabratasen.com

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন