কী কী খাবার পাতে থাকলে বাড়ে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা? ছবি: সংগৃহীত
পরিসংখ্যান বলছে, বিগত চল্লিশ বছরে বিশ্বে পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে গড়ে ৫৯ শতাংশ। আর এই পরিসংখ্যান শুধু পুরুষ নয়, গোটা মানব সমাজেরই মাথাব্যথার কারণ হতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর কারণ ঠিক কী তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, খাদ্যাভ্যাস যে এর পিছনে বড় ভূমিকা নিচ্ছে তা নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। দেখে নিন, কী কী খাবার পাতে থাকলে বাড়ে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা—
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। প্রক্রিয়াজাত মাংস
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ। বেকন, সালামি থেকে হটডগ, বার্গার— যে যে খাদ্যে এই ধরনের মাংস ব্যবহৃত হয় তাদের উপর করা একটি সমীক্ষা স্পষ্ট জানিয়েছে এই তথ্য। বিশেষত রেড মিট এই ঘটনার জন্য দায়ী। মুরগির মাংসে অবশ্য এরকম কোনও ফল দেখা যায়নি। তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা।
২। অতিরিক্ত স্নেহজাতীয় পদার্থযুক্ত দুগ্ধজাত পদার্থ
বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবাদি পশুদের স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। এর প্রভাব পরে দুধেও। এই ধরনের গবাদি পশুর দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকে অনেক বেশি। সম্প্রতি ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সি যুবকদের উপর করা একটি সমীক্ষা বলছে, এই ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে শুক্রাণুর চলাচল, গতি ও আকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩। ক্ষতিকারক ফ্যাটি অ্যাসিড
ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড বা ক্ষতিকর ফ্যাটি অ্যাসিডকে এমনিতেই হৃদযন্ত্রের সমস্যার মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়। বর্তমান গবেষণা বলছে, এই ধরনের পদার্থ শুক্রাণুর সমস্যার জন্যেও দায়ী।
৪। অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ
শুধু খাদ্য নয়, বর্তমানে উপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য সংরক্ষণের জন্য যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় সেগুলিও শুক্রাণুর সমস্যার জন্য মারাত্মক ভাবে দায়ী। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হল, অধিকাংশ খাদ্যেই এই ধরনের রাসায়নিক মিশে থাকে যা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।