বড়দিনের খাওয়াদাওয়া ছবি: সংগৃহীত
বড়দিন মানেই ভূরিভোজ, আর ভূরিভোজ মানেই পেটের বিদ্রোহ। কিন্তু তাই বলে তো আর বড়দিনের খাওয়াদাওয়া উপেক্ষা করা চলে না! কাজেই এমন কিছু কৌশল দরকার যাতে খাওয়াও হবে কব্জি ডুবিয়ে আবার বায়ুদূষণ ঘটিয়ে মুখও লুকোতে হবে না লোকলজ্জায়। রইল গ্যাস, অম্বল, পেটব্যথা ছাড়াই বড়দিন উপভোগ করার সহজ কিছু টোটকা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। জল খান বেশি করে। অভ্যাগতদের জন্য ঘর গোছাতে গিয়ে বা সাজগোজ করতে গিয়ে অনেক সময়েই মনে থাকে না জল খাওয়ার কথা। আর জল কম খাওয়া মানেই কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপার সমস্যা ডেকে আনা। তার উপর যদি রাতের খাবার হয় ভারী তা হলে তো আর কথাই নেই। যাঁরা মদ্যপান করেন তাঁদের জন্যেও সারাদিন পরিমাণমতো জল খাওয়া আবশ্যিক।
২। মদ্যপান করলে তার পরিমাণ হতে হবে খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অতিরিক্ত মদ পরিপাকের সময় খাদ্য কণার ভঙ্গনে সমস্যা তৈরি করে। অত্যধিক খাবার খেয়ে অতিরিক্ত মদ খেলে যেমন শরীর বিরূপ হওয়ার সম্ভবনা তেমনই খালি পেটে মদ খেলেও বাধতে পারে বিপত্তি। মদ্যপান করতে হলে তার সঙ্গে যেন থাকে পরিমিত জল।
৩। কী খাচ্ছেন সেটার পাশাপাশি কী ভাবে খাচ্ছেন সেটাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। রাতের ভারী খাবারের অন্তত চার পাঁচ ঘণ্টা আগে দুপুরের খাবার খাওয়া দরকার। তার বেশি যেন পেট খালি না থাকে। দুপুরের খাবারে তেল মশলা একটু কম থাকাই ভাল। আবার রাতে খেতে বসে একটানা তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে আয়েশ করে, সময় নিয়ে খান। এতে হজমে সুবিধা হয়। খেতে বসে মাঝেমাঝে চুমুক দিতে পারেন হজমের জন্য উপযোগী, এমন কিছু পানীয়ে।
৪। রাতের খাবারের পর একটু অতিরিক্ত সময় রাখুন হাতে, যাতে খাবার খাওয়ার পর অন্তত মিনিট ৪৫ একটু হাঁটাহাটি করে নেওয়ার সুযোগ থাকে। খাবার খাওয়ার পর বসে বা শুয়ে গল্প করার বদলে একটু হেঁটে নিন। বড়দিনের খাওয়াদাওয়ার পর প্রিয়জনের সঙ্গে নৈশভ্রমণ খুব একটা খারাপ লাগবে না, ভাল থাকবে পেটও।
৫। সমস্যা যদি শেষ পর্যন্ত হাতের বাইরে চলে যায় তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অনেকেই নিজে নিজে ওষুধ খান। এতে কিন্তু সমস্যা কমার থেকে বিপদ বাড়ার সম্ভবনাই বেশি।