আত্মহত্যার চিন্তার সঙ্গে আসে অদ্ভুত এক একাকিত্ব। ছবি: সংগৃহীত
বারবার মৃত্যু নিয়ে ভাবছেন? কিছুতেই মাথা থেকে যাচ্ছে না মৃত্যুচিন্তা? খুঁজে পাচ্ছেন না বেঁচে থাকার কোনও কারণ? আপনি একা নন। যাঁরা আত্মহত্যার কথা ভাবেন তাঁদের কাছে এই লক্ষণ বা ভাবনাগুলি নতুন বা অস্বাভাবিক নয়। সারা পৃথিবীতেই কোটি কোটি মানুষ এই ধরনের চিন্তার মধ্যে দিয়ে যান। জানুন কী কী করণীয় এই সময়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। কথা বলুন কাছের মানুষের সঙ্গে। আত্মহত্যার চিন্তার সঙ্গে আসে অদ্ভুত এক একাকিত্ব যা বলে বোঝানো কঠিন। অনেক ক্ষেত্রেই কাকে বলা যাবে তাও বুঝে ওঠা যায় না। অনেক কাছের মানুষও আত্মহত্যার চিন্তার সমাধান হিসেবে পার্থিব সাফল্য ও কারণকে তুলে ধরেন। যা কখনও কখনও আক্রান্তকে আরও দূরে ঠেলে দেয়। এই সমস্যায় সমাধান হতে পারেন মনোবিদ।
২। এই ধরনের চিন্তা এলে চেষ্টা করুন সুরক্ষিত কোনও স্থানে যাওয়ার। এমন কোনও স্থান যেখানে আপনি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন। এমনকি, একটি ঘরে দম বন্ধ লাগলে পাশের ঘরে গিয়ে বসাও হতে পারে উপকারী।
৩। অনেক ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার প্রবণতার পেছনে থাকে গভীর মানসিক অবসাদ। আবার মানসিক অবসাদ থেকে পালাতে অনেকেই নেশার শরণাপন্ন হন। এটি মারাত্মক বিপজ্জনক প্রবণতা। আত্মহত্যার চিন্তা এলে সচেতন ভাবে মাদক ত্যাগ করুন, এমনকি বাদ দিন মদ্যপানও।
৪। কোনও একটি অভ্যাস তৈরি করুন যা উদ্বেগের মুহূর্তে আপনাকে শান্ত করতে পারে। এটিকে গ্রাউন্ডিং টেকনিক বলা হয়। অল্প করে হেঁটে আসা, পোষ্যকে আদর করা বা নির্দিষ্ট কিছু গান শোনার মতো অভ্যাস কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা যেতে পারে।
৫। অনেকের ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার চিন্তা আসে পরোক্ষ ভাবে, এ সব ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করা যেতে পারে। মনে রাখুন শরীরের অন্য কোনও অঙ্গে ব্যাথা বেদনা হলে যেমন তার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই দস্তুর, তেমনই মনের ক্ষেত্রেও যে কোনও অসুবিধায় প্রয়োজন মনোবিদের সহায়তা।