অ্যাসিডিটি উপেক্ষা করা ঠিক নয় ছবি: সংগৃহীত
মঞ্চে পুরোদমে গান গাওয়ার সময়েই বোধ করছিলেন অস্বস্তি। অনুষ্ঠান শেষের কিছু ক্ষণ পর হোটেলে ফিরতেই মৃত্যু হয় সঙ্গীতশিল্পী কেকের। চিকিৎসকদের অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারকা। কিন্তু ঠিক কী কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলেন তিনি, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদ্রোগের পিছনে থাকতে পারে একাধিক ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’। শোনা যাচ্ছে, বাম করোনারি ধমনীর নাকি ৮০ শতাংশই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অন্যান্য ধমনীও নাকি কম-বেশি ব্লক ছিল গায়কের।
কেকের পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাসিডিটির সমস্যার কথা বলতেন তিনি। নিয়মিত খেতেন অ্যাসিডিটির ওষুধও। তবে কি হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাকে অ্যাসিডিটি ভেবেই ভুল করলেন গায়ক?
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাকে অ্যাসিডিটি বলে ভুল করা নতুন নয়। বহু মানুষই হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাকে অ্যাসিডিটি ভেবে দিনের পর দিন উপেক্ষা করেন। আর তাতেই দেরি হয়ে যায় চিকিৎসায়। হৃদ্রোগের ক্ষেত্রে সময় মতো চিকিৎসা মিললে তা বাঁচাতে পারে প্রাণ। অন্য দিকে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না মিললে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত অ্যাসিডিটির ফলে যে সমস্যা দেখা দেয়, তা শুরু হয় পেট থেকে। এই জ্বালা ভাব ধীরে ধীরে বুক ও গলার দিকে উঠে আসতে থাকে। পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই এর মূল কারণ। এই অ্যাসিড ধীরে ধীরে খাদ্যনালী হয়ে উপরের দিকে উঠে আসলে বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অন্য দিকে, হৃদ্রোগের সমস্যা শুরু হয় বুক থেকে। ক্রমে সেই ব্যথা বাঁ হাত ও কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শারীরিক ক্লান্তি, বাঁ দিক অসাড় লাগা কিংবা কঠিন হয়ে আসা, বুক-পিঠ ভারী ভাবও হৃদ্রোগের লক্ষণ হতে পারে।
কী করণীয়?
কোনটি অ্যাসিডিটি আর কোনটি হৃদ্রোগ, তা বাইরে থেকে বলে দেওয়া কার্যত অসম্ভব। সাধারণ মানুষ তো বটেই, চিকিৎসকদের পক্ষেও তাৎক্ষণিক ভাবে নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কাজেই শরীরে এই ধরনের কোনও অসুবিধা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। মনে রাখবেন কয়েক মিনিটের তৎপরতায় বেঁচে যেতে পারে প্রাণ। তাই নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া বা বুকে তৈরি হওয়া কোনও রকম অস্বস্তিকে অ্যাসিডিটি বলে উপেক্ষা করা? নৈব নৈব চ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।