কিডনির অসুখে সারা দিনের ডায়েটের বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়, জল কতটা খাবেন— সেই বিষয়েও চলে আসে নিয়মবিধি। ছবি: শাটারস্টক
কিডনিতে কোনও সংক্রমণ হলে তা ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে, ফলে ক্ষতির আঁচ করা যায় না। কিডনির অসুখে সারা দিনের ডায়েটের বিষয়ে বেশ সচেতন থাকতে হয়। জল কতটা খাবেন, সেই বিষয়েও চলে আসে নিয়মবিধি। কিন্তু মুশকিল হল, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলি এতটাই মৃদু হয় যে, বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। জানুন কী কী লক্ষণ দেখলে আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক।
১) সব সময় ক্লান্তভাব
ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্ত লাগছে? কাজের উদ্যম হারিয়ে ফেলছেন? কিডনির সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। কিডনি বা বৃক্কের মূল কাজই হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনির কাজ ব্যাহত হলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ক্লান্ত লাগে আক্রান্তের। দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাও।
২) অনিদ্রা
কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। এর থেকে শরীরে বাসা বাঁধে নকচুরিয়ার মতো রোগ যখন ঘন ঘন প্রস্রাবের ঠেলায় ঘুমের বারোটা বাজে।
ঘন ঘন প্রস্রাব আসাও কিন্তু কিডনির রোগের লক্ষণ। ছবি: শাটারস্টক।
৩) ত্বকের সমস্যা
কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরোতে পারে না। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘায়ের মতো সমস্যা হয়। ত্বকের এই সব সমস্যা কিডনির অসুখের লক্ষণ হতে পারে।
৪) মূত্রের সমস্যা
ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে? এই লক্ষণ কেবল ডায়াবিটিসের নয়, কিডনির অসুস্থতারও লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রসাবের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয়, তা হলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে।
৫) পা ফুলে যাওয়া
কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে।