আলিয়া ভট্টের মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা ভিগান খাবার খান। ছবি- সংগৃহীত
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা আলিয়া ভট্ট। সাধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে কপূর পরিবারে। নীতু কপূর এবং সোনি রাজদান— দুই মা মিলে আয়োজন করছেন। সাধের মেনুতে কী থাকছে, এখনও অবশ্য তা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে হবু মায়ের পছন্দ অনুযায়ী সব রান্নাবান্না হবে। ২০২০ সাল থেকেই ভিগান খাবার খান অভিনেত্রী। ‘রণলিয়া’র বিয়েতে ভিগান খাবারের আলাদা একটি স্টলও ছিল।
উদ্ভিজ্জ খাবার থেকেই সবচেয় বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। ছবি- সংগৃহীত
শরীরে অন্য প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়ার মুহূর্ত থেকেই তাঁদের সাবধানে থাকার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা।
শরীরের বাড়তি যত্ন জরুরি এই সময়ে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভস্থ সন্তানের বিকাশ কতটা ভাল করে হবে, তা নির্ভর করে রোজের খাওয়াদাওয়ার উপর। এই সময়ে মাছ, মাংস, ডিম— এমন স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খেতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আলিয়া ভট্টের মতো অনেকেই আছেন, যাঁরা ভিগান খাবার খান। ‘ভিগান ডায়ে়ট’-এ দুগ্ধজাতীয় খাবার, প্রাণীজ খাবার থাকে না। পুষ্টির অন্যতম উৎস এই খাবারগুলিই। অন্তত তেমনটাই মনে করেন অনেকে। এই ধারণা আদৌ কতটা সত্যি? এ প্রসঙ্গে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক দিলীপ সেনগুপ্ত বললেন, ‘‘ভিগান খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায় না— অনেকেই এটা বিশ্বাস করেন। এই ধারণা ভ্রান্ত। উদ্ভিজ্জ খাবার থেকেই বরং সবচেয় বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এই ধরনের খাবার থেকে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ক্যালশিয়াম ভরপুর পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কেউ যদি ভিগান খাবার খান, তা হলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’’
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীরের বাড়তি যত্ন নিতে কোন ভিগান খাবারগুলি বেশি করে খাওয়া জরুরি? এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক বলেন, ‘‘বেশি করে ফল খেতে হবে। সবুজ শাকসব্জি, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের ডাল খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাতীয় খাবার ছাড়াও ভিগান খাবারেও মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি। ফলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কেউ ভিগান খাবার খেলে ক্ষতি নেই।’’