হার্টের রোগীর রান্নার সময় বাড়তি সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মানসিক উদ্বেগের মতো কয়েকটি কারণে হৃদ্রোগ দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ মূলত হৃদ্রোগ। জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়সের পর থাবা বসাতে পারে হৃদ্রোগ। শরীরের প্রতি যত্ন না নিলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থেকে যায়।
হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা নির্ভর করে রোজের খাওয়াদাওয়ার উপর। চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, হৃদ্রোগে আশঙ্কা কমাতে রোজের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাইরের তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে দিতে পারে। হার্টের রোগীর রান্নার সময় বাড়তি সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। রান্নায় কোন তেল ব্যবহার করছেন, সে দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। কয়েকটি তেল আছে, যেগুলি হার্টের জন্য খুব ভাল। রইল তেমন কয়েকটি তেলের তালিকা।
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করতে পারেন। প্রতীকী ছবি।
বাদাম তেল
এমন রোগীদের জন্য বাদাম তেল নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। এই তেলে রয়েছে ভিটামিন-ই, উচ্চ মাত্রার মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। ভিটামিন ই হার্টের জন্য খুবই ভাল। কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়।
অলিভ অয়েল
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে এই তেল দিয়ে রান্না করতে পারেন। এতে রয়েছে পলিফেনল নামে উদ্ভিজ্জ উপাদান। যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, এতে থাকা ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
সূর্যমুখী তেল
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এই তেল উপকারী। সূর্যমুখী তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখার পাশাপাশি সার্বিক ভাবে শরীর সুস্থ রাখতে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন এই তেল।