শুধু খাবার নয়, সুস্থ শরীরের জন্য খাবার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি- সংগৃহীত
নিয়মিত জিম করেন। তাই ভাবছেন, অনিয়ম করলেও তার কোনও প্রভাব বোধ হয় শরীরে পড়বে না। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, সুস্থ শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ। তেমনই কোন সময়ে কী খাচ্ছেন, সেটিও সুস্থ এবং নীরোগ শরীরের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকেরই যেমন সকালে দুধ খেলে শারীরিক সমস্যা হয়। আবার অনেকেই শেষপাতে মিষ্টি খান। কিন্তু বুক জ্বালার সমস্যাতেও ভোগেন। পুষ্টিবিদরা বলেন, খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ পেতে গেলে তা খেতে হয় নির্দিষ্ট সময়ে। না হলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
১) চিনি
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মিষ্টিজাতীয় জিনিস খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। যা ইনসুলিন এবং গ্লুকোজ়ের চক্রের উপর প্রভাব ফেলে। বদলে সারা দিন ধরে নানা রকম খাবারের মাধ্যমে ‘কমপ্লেক্স কার্ব’ ভাগ করে নিন। রাতে খাবার পর শেষপাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু একই ভাবে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত করে।
২) ফল
ফলের মধ্যে সামান্য হলেও কার্ব রয়েছে। তাই জলখাবার খাওয়ার পর এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তবে অনেকেই সকালের জলখাবারের সঙ্গে ফল খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাসও ভাল নয় মোটেই। ঠিক তেমনই রাতে খাবার শেষে আম খাওয়ার অভ্যাস থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৩) দই
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস হল দই। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত দই খেতে বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, রাতে দই খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা বেড়ে যায়। যদিও এমন ধারণার বিজ্ঞানসম্মত কোনও ব্যাখ্যা নেই। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, হজমের সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে এবং রাতে দই না খাওয়াই ভাল।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত দই খেতে বলেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই। ছবি- সংগৃহীত
৪) ভাত
ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যদি ভাত খেতেই হয়, সে ক্ষেত্রে সকালে খেয়ে নেওয়াই ভাল। যেহেতু সকালের দিকে শরীরে বিপাকহারের পরিমাণ বেশ ভাল থাকে। তাই ভাতের মতো উচ্চ ক্যালোরি এবং কার্বযুক্ত খাবার সহজেই হজম হয়ে যায়। রাতে হজমশক্তি এতটা উন্নত থাকে না।
৫) দুধ
দুধে সাধারণত দু’রকম প্রোটিন থাকে। যেগুলি রাতের ঘুমের পক্ষে সহায়ক। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন ঝরানো এবং পেশি মজবুত করার লক্ষ্যে যাঁরা জিম করেন, তাঁরা শরীরচর্চা করার পর দুধ খেতে পারেন। কিন্তু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দুধ না খাওয়াই ভাল।