মাত্রাছাড়া উদ্বেগ বশে রাখবেন কী ভাবে? ছবি- সংগৃহীত
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে অবসাদ, মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার নিদান দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পরিবারের নানা রকম দায়দায়িত্ব, ঠিক সময়ে অফিসে ঢোকা, ঊর্ধ্বতনের চাপ, প্রত্যেক মাসে কাজের লক্ষ্যপূরণ— এ সব সামলে উঠে মনকে ফুরফুরে রাখা সত্যিই মুশকিল। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই ধরনের সমস্যা দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগে থেকেই যদি প্রতি দিন একটু করে মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যায়, সে ক্ষেত্রে উদ্বেগের সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
১) ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত ‘ফ্যাভোনল’ জাতীয় উপাদান মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ডার্ক চকোলেটে থাকে ‘এপিক্যাটেকিন’ ও ‘ক্যাটেকিন’ নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বেশ কিছু গবেষণা বলছে, এই উপাদানগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও মস্তিষ্কের কোষে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। স্নায়ুকোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে ডায়াবিটিস ও অনুরূপ সমস্যা থাকলে ডার্ক চকলেট খাওয়ার আগে নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
২) ব্লুবেরি
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর ব্লুবেরি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। উদ্বেগমুক্ত হয়ে দিন শুরু করার জন্য সকালে জলখাবারের সঙ্গে রাখতেই পারেন ব্লুবেরি। তবে এই ফলের দাম যে হেতু বেশি, তাই সকলের পক্ষে তা কেনা সম্ভব না-ও হতে পারে। এর বদলে জাম খেলেও একই ফল পাবেন।
৩) কমলালেবু
কমলালেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি। এ ছাড়াও এই ফলে রয়েছে এমন কিছু যৌগ, যা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই জলখাবার খাওয়ার অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা পর একটি করে কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিষ্টি আলু খেলেও মন ভাল থাকে। ছবি- সংগৃহীত
৪) কলা
উদ্বেগ বেড়ে গেলে তা হৃদ্স্পন্দনকেও প্রভাবিত করে। হৃদ্স্পন্দনকে স্বাভাবিক ছন্দে রাখতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। আর এই যৌগটির প্রাকৃতিক উৎস হল কলা। তবে শুধু উদ্বেগ নয়, হঠাৎ বিগড়ে যাওয়া মেজাজ ভাল করতেও কলার জুড়ি মেলা ভার।
৫) মিষ্টি আলু
নিয়মিত মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি পদ খেলে ভিটামিন বি৬-এর ঘাটতি পূরণ হয়। মন ভাল রাখতে পারে এমন দু’টি হরমোন, সেরোটোনিন এবং ডোপামাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই ভিটামিনটি।