ফল না কি ফলের রস, কোনটা খাওয়া স্বাস্থ্যকর? ছবি: সংগৃহীত।
ফল বেশি পুষ্টিকর না ফলের রস? এ বিতর্ক বহু দিনের। শরীরচর্চার সময় বা খেলার সময় চটজলদি অতিরিক্ত শক্তি পেতে ফলের রস খাওয়া যেতেই পারে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ফলের রস নয়, গোটা ফল খাওয়াই স্বাস্থ্যকর। পারলে খোসা সমেত। অনেকেই মনে করেন প্যাকেটজাত ফলের রসের বদলে বাড়িতে বানানো টাটকা ফলের রস, শরীরের জন্য উপকারী। কেন ফলের রসের বদলে গোটা ফল খাওয়া শুরু করবেন, জেনে নিন।
১. যে ফলগুলি খোসা সমেত খাওয়া যায় সেগুলির পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। খোসা ছাড়িয়ে রস করে খেলে পুষ্টিগুণ কমে যায় অনেকটাই। আপেল, আঙুর, পেয়ারা, শশা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফলগুলো খোসাশুদ্ধুই খাওয়া যায়। ফলের খোসায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, ফ্লাভোনয়েডস যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আঙুরের খোসা ক্যানসার রুখতেও সাহায্য করে। ফলের রস বার করার সময় বেশির ভাগ সময়েই খোসা ফেলে দেওয়া হয়। ফলের রস খেলে শরীর খোসার পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়।
২. ফলের খোসা যেমন, তেমনই ফলের শাঁসের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ফাইবার। কমলার শাঁসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভোনয়েডস। সেই সঙ্গেই রয়েছে ভিটামিন সি। এই দুটোই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কমলার রস করার সময় ফ্লাভোনয়েডস বেরিয়ে যায়। সে কারণেই বাজারচলতি অনেক অরেঞ্জ জুসের গায়ে লেখা থাকে ‘পাল্প অ্যাডেড।’ অর্থাৎ, রস বার করার পর কমলার শাঁস যোগ করা হয়েছে। রস বার করে নিলে ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়।
৩. ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফল খেলে কিন্তু অতটা বাড়ে না। ফলের রসে তরল ফ্রুকটোজ় ছাড়া কিছুই থাকে না। তরল ফ্রুকটোজ় শরীরে গেলেই ‘সুগার স্পাইক’ অনেকটা বেড়ে যায়। তাই ফলের রস খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদেরা।