মাধবনের ফিট থাকার পথটি কী? ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী অভিনেতা হলেও, বলিউডেও একাধিক ছবি এবং ওয়েব সিরিজ়ে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেতা আর মাধবন। ‘শয়তান’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে মাধবনের অসাধরণ অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে সর্বত্র। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন কী ভাবে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েট করেই ওজন ঝরিয়েছিলেন তিনি।
চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখাদেখি অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েটের উপর। এই ডায়েটে খাবারের ক্ষেত্রে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না বলেই হয়তো এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই ডায়েটে দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা উপোস করেই কাটাতে হয়। ২০২২-এর ‘রকেট্রি’ ছবির জন্য অনেকখানি ওজন বৃদ্ধি করতে হয়েছিল মাধবনকে। তার পরেই তিনি কড়া ডায়েট শুরু করেছিলেন। সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমার শরীরের পক্ষে যে খাবারগুলি ভাল, আমি শুধু সেই সব খাবারই খেতাম। কোনও রকম শরীরচর্চা নয়, দৌড়নো নয়, কোনও অস্ত্রোপচার নয়, কোনও রকম ওষুধ— কিছুই না!’’
মাত্র ২১ দিনেই ওজন ঝরিয়ে ফিট হয়েছিলেন মাধবন। কেমন ছিল তাঁর ডায়েট? কী ভাবে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ মেনে চলতেন অভিনেতা? একটি টুইটে অভিনেতা জানিয়েছেন সন্ধ্যা ৬:৪৫ এর পর কোনও খাবার খেতেন না তিনি। দুপুর ৩টের পর তিনি কোনও রকম কাঁচা খাবার থেতেন না, কেবল ঘরে রান্না করা খাবারই খেতেন। সকালে তাড়াতাড়ি উঠে হাঁটাহাঁটি করতেন, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তেন। ঘুমোনোর ৯০ মিনিট আগে ফোন, টিভি, ল্যাপটপ সব বন্ধ করে রাখতেন। ডায়েট চলাকালীন বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর পানীয়, জল বেশি করে খেতেন। তাঁর রোজের ডায়েটে থাকত প্রচুর শাকসব্জি। কোনও রকম প্রক্রিয়াজাত খাবার ছুঁয়েও দেখতেন না তিনি।
‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে আর কী কী লাভ হয়?
১) টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ডায়েট।
২) এই ফাস্টিং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, তাই স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতেও এই ডায়েট উপকারী।
৩) হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতেও এই ডায়েট কাজে আসে।
‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে তবেই আপনার শরীরের লাভ হবে, যদি আপনি সঠিক নিয়ম মেনে, পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে এই ডায়েট করেন। পছন্দের অভিনেতা এই ডায়েট করে ওজন ঝরিয়েছেন বলে আপনারও ওজন ঝরবে এমনটা নয়। সঠিক নিয়ম মেনে না খেলে হিতে বিপরীত ফল হতেই পারে।