ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণী খাবারে কারিপাতার আধিক্য বেশি। চানাচুরের মধ্যেও এই পাতা থাকে। ফোড়ন হিসাবে ডাল, ঝোল, ঝালেও কারিপাতা দেওয়া হয়। কিন্তু সমাজমাধ্যম বলছে, তরুণ প্রজন্মের কাছে এই পাতাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চুলের জন্য! নিয়মিত কাঁচা কারিপাতা চিবিয়ে খেলে চুলের যাবতীয় সমস্যা নাকি বশে রাখা যায়।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কারিপাতা হল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো নানা ধরনের খনিজ। এই খনিজগুলি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। নতুন কোষ তৈরিতেও সহায়তা করে। যা শুধু চুল নয়, ত্বকের জন্যও নিঃসন্দেহে ভাল। এ ছাড়াও কারিপাতায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জেল্লাও ফিরিয়ে দিতে পারে। যদিও এ বিষয়ে গবেষণা সীমিত।
বিটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে সংশ্লেষের মাধ্যমে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদন এবং ক্ষরণের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। কারিপাতার মধ্যে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে চুলের ফলিকলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, তা-ও রুখে দিতে পারে। অনেকেই মনে করেন রক্ত পরিস্রুত রাখতেও কারিপাতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আয়ুর্বেদও সে কথা বলে। বাত, কফ এবং পিত্ত— শরীরের তিনটি দশার মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে।
কারিপাতা ভাল করে ধুয়ে এমনি চিবিয়ে খাওয়াই যায়। তবে যাঁদের হজম সংক্রান্ত কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের একটু সতর্ক থাকতে হয়। নারকেল তেলের মধ্যে কারিপাতা ফুটিয়ে মাথায় মাখলেও উপকার পাবেন।