মাথার ত্বকের সংক্রমণও রুখে দিতে পারে জুঁইফুল দিয়ে তৈরি তেল। ছবি: সংগৃহীত।
চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে অনেক কিছুই তো ব্যবহার করেছেন। সেই টোটকায় চুল পড়ার হার কমলেও চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলা বা চুলের মান ভাল করা যাচ্ছে না। কেশচর্চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকচর্চায় যেমন গোলাপের ভূমিকা রয়েছে, তেমন কেশচর্চায় আবার জুঁইফুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই ফুল দিয়ে তৈরি তেল কিন্তু চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে। পাশাপাশি, মাথার ত্বকের সংক্রমণও রুখে দিতে পারে এই তেল। বাজারে নামী-দামি বিভিন্ন সংস্থার জুঁইফুলের তেল পাওয়া যায়। কিন্তু সে সব বেশ খরচসাপেক্ষ। তবে বাড়িতেও এই তেল তৈরি করে ফেলা যায়। রইল পদ্ধতি।
উপকরণ:
জুঁইফুল: এক মুঠো
নারকেল তেল: এক কাপ
ভিটামিন ই অয়েল: ২টি ক্যাপসুল
রোজ়মেরি অয়েল: ৫ ফোঁটা
পদ্ধতি:
১) টাটকা জুঁইফুল হলে প্রথমে ভাল করে সেগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ফুল শুকনো হলে আর ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
২) এ বার কাচের পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিন। তবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে না চাইলে কাঠবাদামের তেল, অলিভ অয়েল বা তিলের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) এর মধ্যে দিয়ে দিন শুকনো ফুল। খেয়াল রাখতে হবে তেলের মধ্যে ফুলগুলি যেন পুরোপুরি ডুবে থাকে।
জুঁইফুলের তেল মেখে ফিরিয়ে আনুন চুলের জেল্লা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) তেলের মধ্যে মিশিয়ে নিন ভিটামিন ই এবং কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি অয়েল।
৫) এ বার তেলের শিশির মুখ ভাল করে বন্ধ করে, এমন জায়গায় রাখুন যেখানে আলো, হাওয়া কম পৌঁছায়। জল লাগতে পারে এমন জায়গায় রাখলেও কিন্তু চলবে না।
৬) এই ভাবে দুই থেকে চার সপ্তাহ রেখে দিতে হবে কাচের শিশি। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার একটি চামচের সাহায্য তেল নাড়াচাড়া করে দিতে হবে।
৭) মাস খানেক এই অবস্থায় থাকার পর ছাঁকনি দিয়ে তেল ছেঁকে নিতে হবে। তেলের মধ্যে থাকা জুঁইফুলগুলি তুলে ফেলে দিতে পারেন।
৮) পরিষ্কার অন্য একটি কাচের শিশিতে তেল ঢেলে রেখে দিন। স্নান করার আধঘণ্টা আগে এই তেল মেখে রাখুন। হালকা গরমও করে নিতে পারেন।
৯) তার পর হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেই হবে।