পিৎজ়া খেয়েই রোগা হলেন। ছবি: সংগৃহীত
সকাল, দুপুর, রাত— তিন বেলা পাতে থাকে পিৎজ়া। এক মাস পিৎজ়া ‘ডায়েট’ করেই ৩.৫ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন যুবক। সম্প্রতি রায়ন মার্কার নামে ৩৪ বছর বয়সি ওই যুবকের রোগা হওয়ার কাহিনি নিয়ে চলছে জল্পনা।
বার্গার, পিৎজ়া, ফ্রেঞ্চফ্রাই— মুখরোচক এই খাবারগুলি ওজন বাড়াতে সিদ্ধহস্ত। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই এই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু রায়নের এই রোগা হওয়ার পদ্ধতি দেখে অবাক হয়েছেন অনেকে। রায়ন পেশায় জিম প্রশিক্ষক। তাঁর মতে, রোগা হওয়া মানেই পছন্দের খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া নয়। মেদ ঝরানোর জন্য শুধু ক্যালোরি আছে এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কোনও মানে নেই। তিনি সব সময় বাকিদেরও তেমন কথা বলেন।
রায়ান জানিয়েছেন, পিৎজ়া তাঁর অন্যতম প্রিয় খাবার। রোগা হওয়ার সিদ্ধান্ত যখন নিলেন, প্রথমেই ঠিক করে নিয়েছিলেন পিৎজ়া খাওয়া কোনও ভাবেই বন্ধ করবেন না। বরং আগের চেয়ে আরও বেশি করে পিৎজ়া খাবেন। দিনে তিন বার ১০টি করে পিৎজ়ার টুকরো থাকত তাঁর পাতে। সেই সঙ্গে প্রোটিনও খেতেন নিয়ম করে। পিৎজ়া ছাড়াও তাঁর ডায়েটে থাকত ফল এবং প্রচুর সবুজ শাকসব্জি। নিজেই পরিশ্রম করে তৈরি করতেন সব খাবার। তাই আর আলাদা করে জিমে যেতেন না তিনি। এমনকি পিৎজ়া বাড়িতেই তৈরি করতেন। মাঝেমাঝে স্বাদে বদল আনতে নিত্যনতুন পিৎজ়া তৈরি করতেন। প্রায় একমাস ধরে এই বিশেষ ডায়েট চলার পর ওজন কমাতে সক্ষম হন তিনি। পিৎজ়া খেয়ে ওজন কমানোর কেরামতির কথা সামাজিক মাধ্যমে নিজেই জানান তিনি। সেই ভিডিয়ো দেখেই বিস্মিত সকলে। অনেকেই জানতে চাইছেন, কী ভাবে সম্ভব হল এমন। রায়ানের পরামর্শ, খাওয়াদাওয়ায় ভারসাম্য প্রয়োজন। ডায়েট মানে বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবারে পেট ভরানো নয়। মন ভাল রাখে, এমন খাবার খেলে এমনিতেও ওজন কমবে।