ডায়াবেটিকরা পায়ের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন পর কাজ থেকে বাড়ি ফিরে গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখেন। পায়ের পেশির আরাম তো হয়ই। সঙ্গে নখ, পায়ের ত্বকও ভাল থাকে। নিয়ম করে প্রতি মাসে পেডিকিয়োর করালেও পায়ের নানাবিধ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সঙ্গে ঘর করছেন, তাঁদের জন্য এই অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। ডায়াবিটিস রোগীদের পা খুবই স্পর্শকাতর হয়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস থাকলে পায়ের স্নায়ুগুলিও তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সাধারণ কাটা, ছড়ে যাওয়া থেকেও সাবধান থাকতে বলা হয়, কারণ খুব সামান্য আঘাতে তা ঘায়ে পরিণত হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘নিউরোপ্যাথি’ বলা হয়।
নিউরোপ্যাথি কী?
ডায়াবিটিস থাকলে বিশেষ ভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। না হলে ডায়াবিটিস থাবা বসায় স্নায়ুতেও। স্নায়ু কমজোর হয়ে পায়ের সাড় কমে যাওয়াকেই বলে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি। তখন আঘাত লাগা বা ঠান্ডা-গরম অনুভূতি কিছুই থাকে না।
পায়ের যত্ন নেবেন কী ভাবে?
পেডিকিওর না করতেই পারলেই ভাল। একান্ত যদি করতেই হয়, সেই নির্দিষ্ট পার্লারের কর্মীর ডায়াবিটিস আক্রান্ত পায়ের যত্ন নেওয়ার সঠিক নিয়ম জানা আছে কি না বা প্রয়োজনীয় ট্রেনিং আছে কি না, তা জেনে তবেই পা পরিষ্কার করতে দেওয়া উচিত।
পেডিকিওরের সময় গরম জলে পা ডোবানো বা ঝামা দিয়ে ঘষার সময় সচেতন না হলে কেটে-ছড়ে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। কড়া বা মৃত চামড়া কাটার সময় কাঁচি ঠিক মতো জীবাণুমুক্ত কি না সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) পা ধোয়ার জলের তাপমাত্রা দেখে তবেই পা দেবেন।
২) দীর্ঘ ক্ষণ জলে পা ডুবিয়ে রাখবেন না।
৩) জল থেকে তুলে শুকনো করে পা মুছে নিতে হবে। পায়ে জল বসতে দেওয়া যাবে না।
৪) বাথরুমের চটি, ঘরের চটি আলাদা রাখুন।
৫) বাইরে বেরোলে মোজা ছাড়া জুতো পরবেন না।