অতিরিক্ত নুন খাওয়ার অভ্যাস কী বিপদ ডেকে আনে, জানেন? ছবি: সংগৃহীত।
খাবারে সামান্য একটু নুন কম হলেই অনেকের মেজাজ একেবারে সপ্তমে উঠে যায়। অনেকের আবার মাছ-মাংসের ঝোল কিংবা তরকারিতে নুন ঠিকঠাক হলেও পাতে কাঁচা নুন নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস। এমনকি, বাইরে বেরিয়ে সামান্য ফুচকা খেতে গেলেও আলুর পুরে বেশি করে নুন মেশাতে বলেন কেউ কেউ। শরীরে প্রয়োজনীয় নানা উপাদনের মধ্যে সোডিয়াম অপরিহার্য। যা সাধারণ খাবারের মধ্যে দিয়েই প্রতি দিন শরীরে প্রবেশ করে। তবে তারও নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। দিনের পর দিন প্রয়োজনের অতিরিক্ত নুন খাওয়ার ফলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়ে, তা জানেন?
১. উচ্চ রক্তচাপ: নুন বেশি খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। যা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার জন্যে অনেকাংশে দায়ী। রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তা রক্তবাহিকার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
২. কিডনির সমস্যা: শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিডনি। অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির উপর চাপ পড়তে থাকলে তা বিকল হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩. ওয়াটার রিটেনশন: অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে তরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই অতিরিক্ত তরলই শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জমতে শুরু করে। পায়ের পাতা, গোড়ালি বা হাতের বেশ কিছু অংশে ফোলা ভাব দেখা যায়। সেখান থেকে প্রদাহ বাড়তে পারে।
নুন বেশি খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
৪. জল তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়: অতিরিক্ত নুন খেলে জল তেষ্টা বেড়ে যায়। তাতে শরীরের ভাল তো নয়ই, উল্টে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। শরীর ভাল রাখতে গেলে জল খাওয়া প্রয়োজন। তবে তারও নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। সারা দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস অর্থাৎ, ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়াই যথেষ্ট বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। তার থেকে বেশি জল খেলেই কিডনি বা লিভারের মতো অঙ্গের উপর চাপ পড়ে।
৫. অস্টিয়োপোরোসিস: অতিরিক্ত নুন খেলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। মাত্রাতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। হা়ড়ের জন্যে প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ফলে হাড় সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।