ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
গ্রীষ্মের বাজারে আমের মতোই জামেরও চাহিদা কিন্তু বেশ তুঙ্গে। দামের দিক থেকেও যদিও আমকে অনেকটা পিছনে ফেলে দেয় জাম। ৫০০ জাম কিনতে গেলে পকেটে বেশ ছ্যাঁকা লাগে। তবে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে এই ফল রাখার কথা বলেন বার বার। জামের বীজ, পাতা এবং ছাল অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই ফল ওযুধের মতো কাজ করে।
জামের বীজ ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতেও সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর বাজারে এই ফলের দেখা পাওয়া যায় না। তাই ডায়াবিটিসকে জব্দ করতে গরমে ভরসা রাখুন জামেই। জাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাম ছাড়াও এর বীজ কিন্তু ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, জামের বীজের গুঁড়ো বানিয়ে খেলে ডায়াবিটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। গরমের পর অন্যান্য মরসুমে জামের বীজ খেয়েও ডায়াবিটিসকে জব্দ করতে পারেন।
জামের বীজে জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন নামে যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে ইনসুলিন হরমোনোর ক্ষরণ বাড়ায়। জামের বীজের প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ফলের বীজ ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া জামে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। যাঁরা ডায়াবিটিসে ভোগেন, তাঁদের অনেকের যৌন চাহিদা কমে যায়, লিঙ্গ উত্থানেও সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা দূর করতেও জামের বীজ বেশ উপকারী। জামের বীজে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ফলে ডায়াবিটিসও বাগে রাখা সম্ভব হয়।
কী ভাবে খাওয়া যায় জামের বীজ?
১) জাম মাখা খাওয়ার সময়ে ফল থেকে বীজ আলাদা করে নিন।
২) এ বার বীজগুলিকে ভাল করে ধুয়ে শুকনো কাপড়ের উপর রেখে রোদে শুকোতে দিন। ৩-৪ দিন রাখুন।
৩) বীজগুলি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর বাইরের খোলস ছাড়িয়ে ভিতর থেকে সবুজ অংশ সংগ্রহ করে নিন।
৪) বীজের ভিতরের অংশগুলিকে ফের রোদে শুকোতে হবে।
৫) শুকিয়ে গেলে ভাল করে পিষে নিন।
৬) রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস দুধ কিংবা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।