কাঁচা পোস্ত বাটাই হোক বা তরকারি, গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে পোস্ত দরকারি। ছবি- সংগৃহীত
গোটা গরমকাল জুড়েই পোস্ত খাওয়ার চল রয়েছে রাঢ় বাংলায়। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। আমিষ, নিরামিষ যে কোনও পদের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে পারে পোস্ত। পোস্ত খেলে নাকি ঘুম ভাল হয়। তাই কাজে ব্যাঘাত ঘটার ভয়ে অনেকেই পোস্ত এড়িয়ে চলেন। পেটখারাপ হলেও পোস্তবাটা দিয়ে ভাত খাওয়ার চল আছে বাঙালি বাড়িতে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পোস্ততে থাকা প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন রকম ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ হার্টের স্বাস্থ্য, পরিপাক সংক্রান্ত সমস্যা, চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য, ডায়াবিটিস, অনিদ্রা এবং স্নায়ুর সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। ম্যাঙ্গানিজ়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে পোস্তয়। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কেটে যাওয়া জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
পোস্ত শরীরে আর কোন কোন উপকারে লাগে?
১) যন্ত্রণা বশে রাখে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোস্ততে থাকা মরফিন, কোডেইন, থিবাইন-এর মতো যৌগ ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আফিমগোত্রের এই খাবার খেলে স্নায়ুর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্নায়ু নিস্তেজ হয়ে পড়লে সহজে ঘুম এসে যায়।
২) হার্টের জন্য ভাল
পোস্ততে এক ধরনের তেল পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উপাদান মোনো এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা পোস্তের মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
৩) ক্ষত নিরাময়ে
পোস্তের মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটগুলি ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। দেহের কোনও স্থানে কেটে বা ছড়ে গেলে, সেখানে নতুন কোষ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।
৪) হজমে সহায়ক
গরমে পেটের গোলমাল লেগেই থাকে। বার বার পেটখারাপের ওষুধ না খেয়ে পোস্তবাটা খেয়ে দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি, অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে পোস্ত।
৫) সন্তানধারণের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
অনেকেই বলেন, পোস্ত খেলে নাকি বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূর হয়। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এই টোটকা বিশেষ ভাবে কাজ করে। যৌনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক পোস্ত।