ডায়েটের পর্বে ওজনের বিষয়ে নজর দেওয়া অবশ্যই জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের তারকা থেকে সাধারণ মানুষ— ছিপছিপে থাকতে কম চেষ্টা করেন না কেউই। ডায়েট থেকে শরীরচর্চা, রোগা হওয়ার উপায়গুলি নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলেন অনেকেই। ডায়েট শুরুর ১৫ দিনের মাথাতেই নিয়মিত ওজন মাপা শুরু করে দেন। সেটা সারা দিনে বেশ কয়েক বার মাপেন অনেকেই। আবার মনের মতো ফল না পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙেও পড়েন।
ওজন মাপা হয়ে গেলে জল, ওষুধ, চা এবং খাবার খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়েট চলাকালীন মানসিক ভাবে সুস্থ থাকাটা জরুরি। তাই এই সময়ে এমন কিছু না করাই শ্রেয়, যেগুলি মনের চাপ বৃদ্ধি করে। ডায়েটের পর্বে ওজনের উপর নজর দেওয়া অবশ্যই জরুরি। কিন্তু কত দিন ডায়েট করার পর ওজন কমল কি না জানতে চাইছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক পদ্ধতিতে ডায়েট করলে দেরিতে হলেও ওজন কমবে। কিন্তু তার জন্য ঘন ঘন সে দিকে নজর দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন নেই। আর তা ছাড়া, ওজন মাপারও একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ওজন মাপার সময়ও আছে। ইচ্ছামতো সময়ে ওজন মাপলেও তার ফল আশানুরূপ না-ও হতে পারে।
ওজন মাপার সুবর্ণ সময় হল সকালে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ওজন মাপলে সঠিকটি জানা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে ওজন মাপার আগে মলত্যাগ করে নেওয়া জরুরি। ওজন মাপা হয়ে গেলে জল, ওষুধ, চা এবং খাবার খেতে পারেন। অনেকেই আছেন যাঁরা সারা দিনের ডায়েট এবং শরীরচর্চা শেষে ওজন মাপেন। ওজন মাপার সঠিক সময় কিন্তু সন্ধ্যা নয়। এই সময়ে শরীরের আভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত সক্রিয় থাকে। ফলে ওজন ৫০০ গ্রাম কিংবা ১ কেজি বেশি দেখাতেই পারে।
ডায়েট করছেন ভাল কথা। কিন্তু ঘন ঘন ওজন মাপার অভ্যাসে হিতে বিপরীত হতে পারে। ১৫ দিন অন্তর ওজন মাপা জরুরি। তা হলে সব দিক বজায় থাকে।