কান বাঁচান, প্রাণ বাঁচান। প্রতীকী ছবি
কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে পথে-ঘাটে হাঁটতে গিয়ে দুর্ঘটনার কথা শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। মৃত্যুর খবর উঠে আসে খবরের শিরেনামে। তবু বাড়ে না সচেতনতা। শুধু ইয়ারফোন কানে লাগিয়ে পথ চলাই নয়, ইয়ারফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ডেকে আনে কানের সমস্যাও। গান শুনুন। তবে কিছু নিয়ম মেনে। এতে জীবন ও কান, দুই-ই বাঁচবে, আবার গান শোনার মজা থেকেও বঞ্চিত হবেন না।
১। সস্তা ইয়ারফোন এড়িয়ে চলুন
যে সংস্থার মোবাইল, সেই সংস্থারই ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। প্রতিটি সংস্থা তাদের নির্দিষ্ট ফোনের জন্য নির্দিষ্ট ইয়ারফোন তৈরি করে। ফোন থেকে বার হওয়া তরঙ্গ, কম্পন ইত্যাদির উপর অঙ্ক কষেই ঠিক করা হয় ইয়ারফোনের ক্ষমতা। অনেকেই ইয়ারফোন খারাপ হলে বাজারচলতি সস্তা ইয়ারফোন কিনে ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ধরনের যন্ত্রগুলিতে তরঙ্গ ও কম্পনের মাত্রার পরিমিতি থাকে না। যা কানের জন্য খুব ক্ষতিকর।
২। আওয়াজের মাত্রায় থাকুক লাগাম
ইয়ারফোনে গান শোনার সময় সর্বোচ্চ ‘ভল্যুমে’ কখনওই শুনবেন না। এতে কানের পর্দার মরাত্মক ক্ষতি হয়। দেখবেন, ফোনের আওয়াজ বাড়ানোর সময় ফোনের থেকেও এই বার্তা দেওয়া হয়। কাজেই নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি আওয়াজ দিয়ে গান শুনবেন না।
হেডফোন ব্যবহারেও হতে হবে সতর্ক। প্রতীকী ছবি
৩। কম শব্দে বিপদও কম
শুধু কানের স্বাস্থ্যরক্ষা নয়, নিয়ন্ত্রিত আওয়াজ দিয়ে শুনলে বাইরের আওয়াজও শোনা যায়। কাজেই বাইরের যানবহনের আওয়াজ কানে আসে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে। রাস্তায় হাঁটার সময় বা রেললাইন পেরনোর সময় কোনও মতেই কানে ইয়ারফোন লাগাবেন না।