দীর্ঘ দিন ধরে থাইরয়েডের ওষুধ খেয়েও লাভ হচ্ছে না! ছবি: শাটারস্টক
থাইরয়েডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। পুরুষদের চেয়েও মহিলারা এই অসুখে বেশি ভোগেন। এবং এক বার ধরলে সহজে সঙ্গও ছাড়ে না এই অসুখ। বিশেষ করে, যাঁদের ক্ষেত্রে অসুখ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর ধরা পড়ে, এই অসুবিধা তাঁদের অনেক বেশি হয়। দীর্ঘ দিন ধরে থাইরয়েডের ওষুধ খেয়েও লাভ হচ্ছে না! দিনের পর দিন এই ভুলগুলি করছেন না তো? থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। যা না মানলে কিছুই লাভ হবে না।
১) এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বাঁধাধরা সময় মেনে চলাই ভাল। সকাল ৮টার ওষুধ যাতে রোজ ৮টাতেই খাওয়া হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সকালে ওষুধ খেতে যদি কোনও দিন ভুলে যান তা হলে দুপুরের খাবারের দু’ থেকে আড়াই ঘণ্টা পর ওষুধ খেতে পারেন।
২) এই ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে কিছু না খাওয়াই ভাল। এমনকি চা, কফিও নয়!
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে থাইরয়েডের ওষুধ সারা জীবন ধরে খেয়ে যেতে হয়। ছবি: শাটারস্টক।
৩) থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম রয়েছে এমন কোনও খাবার খাবেন না।
৪) এই ওষুধ খাওয়ার সময় অন্য কোনও সাপ্লিমেন্ট যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম বা ভিটামিনের ওষুধ ভুলেও খাবেন না।
৫) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধটি সারা জীবন ধরে খেয়ে যেতে হয়। তাই পরীক্ষায় হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক না হলেও ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। মাত্রা খুব কমে বা বেড়ে গেলে ওষুধের ডোজ় ঠিক করতে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিত্সকদের মতে, সকালে খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে বা খাবারের সঙ্গে এই ওষুধ খেলে শরীরে সঠিক ভাবে তা কাজ করে না। ফলে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।