শীতকালে কী ভাবে নেবেন সদ্যেজাতের বিশেষ যত্ন।
শীতকালে বড়দের তুলনায় শিশুদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেক বেশি। বিশেষ করে সদ্যেজাত শিশু হলে তো বাড়তি সচেতনতা এবং সতর্কতা প্রয়োজন। শিশুর কোমল শরীরে যাতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে সে দিকেও রাখতে হবে খেয়াল। শীতকালে কী ভাবে নেবেন সদ্যেজাতের বিশেষ যত্ন।
কী করবেন?
১) সদ্যেজাতের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় তা অত্যন্ত রুক্ষ হয়ে যায়। একরত্তির ত্বক কোমল ও মসৃণ রাখতে চাইলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে কী ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া জরুরি।
২) সদ্যেজাতের শারীরিক গঠন ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য নিয়মিত তেল মালিশ করা প্রয়োজন। নিয়মিত মালিশ করার ফলে দেহের রক্ত সঞ্চালন সচল থাকে। ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
৩) মোটা সোয়েটার, গ্লাভস, টুপি, মোজা ইত্যাদি ভারী ভারী পোশাক সর্বক্ষণ পরিয়ে রাখলে শিশুর মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে। তার ফলে কান্নাকাটি করলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার চেয়ে একরত্তির জন্য বেছে নিন এমন কিছু জামাকাপড় যাতে ঠান্ডাও লাগবে না আবার বেশ আরামদায়কও।
৪) রোদ আসে এমন জায়গায় শিশুকে রাখুন। স্নান করিয়ে রোদ থেকে এক বার ঘুরিয়েও নিয়ে আসতে পারেন। তবে খুব চড়া রোদে নিয়ে না যাওয়াই ভাল।
প্রতীকী ছবি।
কী করবেন না
১) সদ্যেজাত শিশুর ত্বক যেহেতু সংবেদনশীল ফলে বাজারচলতি ময়েশ্চারাইজার বা রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত কোনও প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
২) প্রতিদিন শ্যাম্পু বা সাবান জাতীয় পণ্য ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা লাগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩) শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় ভারী কম্বল বা কাঁথা ব্যবহার না করাই ভাল। সদ্যেজাত শিশুর স্বাভাবিক প্রবণতাই হল হাত-পা নাড়ানো। ভারী কম্বল গায়ে চাপালে শিশু অবাধে তা করতে পারবে না। বাধাপ্রাপ্ত হবে। রাতে না হলেও অন্তত দিনের বেলা হালকা কিছু গায়ে দিয়ে রাখুন।