সাধারণ শৌচাগারে গেলে মাথায় রাখবেন কী কী? ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির বাইরে প্রকৃতির ডাক এলে সাধারণ শৌচাগারে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু যে হেতু বহু মানুষ এই ধরনের শৌচাগার ব্যবহার করেন তাই, অনেকেই আশঙ্কা করেন এই ধরনের শৌচাগার ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে দেহে। অনেকেই ভাবেন যৌনরোগ কিংবা ‘ইউটিআই’ বা মূত্রনালির সংক্রমণ ছড়াতে পারে এ ভাবে। তবে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে কোথাও স্পর্শ না হলে এই ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কার্যত শূন্য। কাজেই মূত্রত্যাগের সময়ে সংক্রমণ ছড়ানো কঠিন। কিন্তু যদি কমোডে বসতে হয়, তবে সে ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
১) এখন অনেক ধরনের জীবাণুনাশক স্প্রে পাওয়া যায় বাজারে। শৌচাগারে কমোড ব্যবহারের আগে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়ে নিন উপরে। ফ্লাশ করে তার পর ব্যবহার করুন। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। মূত্রাশয়ের সংক্রমণও এড়ানো যাবে।
২) শৌচাগারে গেলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা আবশ্যিক। বিশেষ করে কমোড ব্যবহারের পরে। সম্ভব হলে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। অফিসের শৌচাগারে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ থাকলেও রাস্তার সব কয়েকটি শৌচালয়ে হ্যান্ডওয়াশ থাকে না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্যানিটাইজার মেখে নিতে হবে।
কোথাও স্পর্শ করার পর হাত পরিষ্কার না করে অন্যত্র স্পর্শ করবেন না। ছবি: প্রতীকী
৩) শৌচালয়ে গিয়ে কল চালাতে, ফ্লাশ করতে অথবা দরজার হাতল ধরার প্রয়োজন হলে টিস্যু কাগজ দিয়ে ধরুন। খালি হাতে ধরবেন না। কোথাও স্পর্শ করার পর হাত পরিষ্কার না করে অন্যত্র স্পর্শ করবেন না।
৪) শৌচালয়ের মেঝেতে ব্যাগ বা অন্য কোনও জিনিস কোনও মোটেই রাখবেন না। যদি পোশাক খোলার প্রয়োজন হয়, তবে পোশাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস উঁচু কোনও স্থানে রাখুন। শৌচালয় থেকে বেরিয়ে সেগুলিতে স্যানিটাইজার স্প্রে করে নিন।