ইউটিআই-এর ঝুঁকি এড়াবেন কী ভাবে? প্রতীকী ছবি।
মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই)-এর সমস্যা গরমের দিনে অনেকটাই বেড়ে যায়। যাঁদের এই সমস্যা আছে, তাঁদের পাশাপাশি নতুন করেও এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে। সংক্রমণের পর তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে বা চিকিৎসা না করালে এই রোগের হাত ধরে একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। অনেক মহিলাই এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাজারচলতি কিছু ওষুধ খেয়ে ফেলেন কিংবা নানা রকম জেল ব্যবহার করা শুরু করেন। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। কেবল মহিলাদেরই নয়, এই মরসুমে কিন্তু ছেলেদের মূত্রনালিতেও সংক্রমণ হয়। গরমে তাই আগে থেকেই এই রোগ ঠেকিয়ে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইউটিআই সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার উপায় কী?
পরিমিত জল খান: এই রোগ ঠেকিয়ে রাখতে হলে বেশি করে জল খেতে হবে। শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখুন। প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে দিনে অন্তত আড়াই লিটার জল খাওয়া শুরু করা উচিত। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে জলের পরিমাণ আরও বাড়াতে হতে পারে। খুব বেশি ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না, এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে।
খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখুন: এই সময়ে চিকিৎসকরা ডায়েটে বেশি করে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি প্রস্রাবের সময়ে জ্বালা ভাব কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। গরমের সময় হলে খাদ্যতালিকায় মুসাম্বি, কিউয়ি, ব্রকোলি, পেঁপে, স্ট্রবেরি অবশ্যই রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়।
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। প্রতীকী ছবি।
আনারস খেতে পারেন: আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী উৎসেচক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইউটিআই-এ আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন আনারসের রসও খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্র্যানবেরির রসও এই সমস্যা সমধানে বেশ উপকারী।
প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য খান: এই সময়ে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই প্রকার খাদ্য ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। রান্নায় বেশি করে দই ব্যবহার করুন। দইয়ের ঘোল, লস্যি, শুধু দইও খেতে পরেন।