শক্ত ঘাড় নরম হবে। ছবি: সংগৃহীত।
পিছন থেকে হঠাৎ কেউ ডাকলে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতে যাবেন, কিন্তু ঘাড়ে এমন ব্যথা যে, সহজে ঘোরাতে পারছেন না। অনেক সময় শোয়ার দোষে ঘাড় বা কাঁধের পেশিতে টান লাগে। তবে ঠান্ডাতেও অনেক সময় এই ধরনের ব্যথা বাড়ে। কোমর নিচু করতে গেলেও কষ্ট হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, শীতের দাপটে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা কমে যেতে পারে। যার ফলে কাঁধ, ঘাড় কিংবা কোমরের পেশিগুলি শক্ত হয়ে যায়। নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। শরীরে জলের অভাব হলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই এই ধরনের সমস্যা বশে আনতে পারেন।
১) গরমের পোশাক পরুন
শরীর গরম রাখলে এই ধরনের কষ্ট বশে থাকে। তাই সোয়াটার, জ্যাকেট ছাড়াও প্রয়োজনে থার্মাল জাতীয় পোশাক পরুন। ঘাড়ে কম্ফর্টার জড়িয়ে রাখতে পারেন।
২) নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। পেশির জোর বাড়িয়ে তোলা থেকে দেহের সমস্ত অঙ্গ সচল রাখা সহজ হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এই ধরনের ব্যথা কমে। শরীরচর্চা করলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) সুষম খাবার খাওয়া
ওষুধের উপর ভরসা না করে নিয়মিত ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি প্রোটিন, ভিটামিন-যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পর্যাপ্ত জল খাওয়া
পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। পেশির নমনীয়তা নষ্ট হওয়ার পিছনে কিন্তু জল কম খাওয়ার মতো কারণ দায়ী।
৫) হিট প্যাড-এর ব্যবহার কম করুন
ব্যথা হলেই গরম সেঁক দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় বয়স্কদের মধ্যে। কিন্তু সমস্যা হল, এই ধরনের ব্যথায় গরম সেঁক দিলে তা সমায়িক আরাম দেয়। পরে আবার সেই ব্যথা ফিরেও আসতে পারে। তাই হিট প্যাড ব্যবহার না করাই ভাল।