শীতে রক্তচাপের তারতম্য হয় শরীরে, সুস্থ থাকতে কী কী নিয়ম মানবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
শীতকালে রক্তচাপের হেরফের হয় অনেকেরই। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে যাঁদের, তাঁদের এই সময়টাতে বেশি করে সাবধানে থাকতে হয়। এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, অস্থিসন্ধির ব্যথা, হাঁপানি প্রভৃতির মতো বেশ কিছু উপসর্গেও কাবু হয়ে পড়েন অনেকেই। হার্টের রোগীদের অনেক বেশি সাবধানে থাকতে হয় এই সময়ে।
শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে মানবদেহের শিরা ও ধমনীগুলি সংকুচিত হয়ে আসে। এর ফলে দেহের উষ্ণতা বজায় রাখা, রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখা এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ করতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করতে হয় শরীরকে। আর এই কারণেই শীতকালে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া মানেই তা হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ষাটোর্ধ্ব মানুষদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি শীতকালে শরীরচর্চার অভাব, অলসতা বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণেও রক্তচাপ বাড়তে পারে।
সাবধানে থাকতে কী কী নিয়ম মানবেন?
১) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপযোগী সঠিক খাদ্যাভ্যাসও। শীতকালে রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে শীতকালীন বিভিন্ন শাক সব্জি খাওয়া যেতে পারে। শীতের বিভিন্ন ফল খেতে হবে। বাইরের খাবার, ভাজাভুজি খাওয়া চলবে না।
২) যাঁরা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তাদের এই সময়টুকু একটু অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। অযথা বাড়ির বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা না করাই ভাল। ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়ো শরীর বুঝে করলে ভাল হয়।
৩) হার্টের রোগীদের রক্তচাপ মেপে রাখা ভাল। যদি শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি হয়, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪)খুব ভারী শীতপোশাক না চাপিয়ে বরং লেয়ার করে পোশাক পরতে পারলে ভাল হয়। তা হলে গরম কালে একটি আস্তরণ খুলে রাখা যাবে।
৫) ঘন ঘন চা-কফি না খাওয়াই ভাল। শীতের সময়ে অনেকেই দিনে ৫-৬ কাপ কফি খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ক্যাফিন রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। অ্যালকোহলও পরিমিত মাত্রায় খেলেই ভাল।
৬) তাপমাত্রা কমতে থাকলে জল খাওয়ার তেমন আগ্রহ থাকে না। পর্যাপ্ত জল না খেলে বা শরীরে জলের ঘাটতি হলেও কিন্তু রক্তের চাপ বেড়ে যেতে পারে।