শরীর চাঙ্গা রাখতে প্রাতরাশে নজর রাখতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
তিরিশ পেরোলেই এখন মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে হাজারটা রোগ। কারও রক্তে শর্করাার পরিমাণ লাগামছাড়া, কেউ আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, কেউ হার্টের রোগী তো কেউ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত— এ সব সমস্যার মূলেই কিন্তু খাওয়াদাওয়ায় চূড়ান্ত অনিয়ম। চিকিৎসকদের মতে নিয়ম বেঁধে খাওয়াদাওয়া করলেই অনেক রোগব্যাধির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন, খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন বদল আনলে শরীর চাঙ্গা থাকবে।
১) পরের দিনের মেনু আগের দিন ঠিক করে রাখুন
এক দিন আগে থেকেই পরের দিনের মেনুতে কী কী রাখবেন, তা স্থির করে রাখুন। কী কী থাকবে মেনুতে তা বাছাই করার সময় খাবারে যেন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ আর ফাইবারের ভারসাম্য থাকে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। বাড়িতে খাবার তৈরি থাকলে বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমবে।
২) খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করুন
খাওয়ার সময় বিপাককে প্রভাবিত করে। সকালে, ঘুম থেকে ওঠার পর দারুণ সক্রিয় থাকে দেহের বিপাকক্রিয়া । ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠে দু’ঘণ্টার মধ্যেই জলখাবার খেলে বিপাক প্রক্রিয়াটি আরও ভাল হয়। তা ছাড়া, রাতে ঘুমের পর দীর্ঘ সময় খালি থাকে পেট। তাই সকালে বিপাকের জন্য জ্বালানি হিসাবে খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে পারলে চাঙ্গা হয় শরীর। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৌল বিপাক বা বিপাকহার ধীর হয়ে যায় এবং এই কারণেই রাত ৮টার মধ্যে নৈশভোজ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
৩) প্রাতরাশ না করলে চলবে না
ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম টানতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
অফিসে দেরি হয়ে যাবে বলে অনেকেই প্রাতরাশ না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু ভাল নয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এই কারণেই অনেকের ওজন বেড়ে যায়। সকালের প্রথম খাবারটা পেট ভরে খেতে বলেন তাঁরা।
৪) বিকেলের স্ন্যাকস সঙ্গে রাখুন
অফিস যাওয়ার সময়ে দুপুরের পাশাপাশি বিকেলের হালকা স্ন্যাকসও অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। খাবার সঙ্গে থাকলেই বাইরের ভাজাভুজি খাওয়ার ইচ্ছে কমবে। ছোলার স্যাল্যাড, অঙ্কুরিত ছোলা, ফ্রুট স্যালাড সঙ্গে থাকলে পেট ভরবে আর বাইরের খাবারও খেতে হবে না।
৫) মাপ বুঝে জল
শরীরের সমস্ত কাজ পরিচালনার জন্য জলের প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্যও বেশি করে জল খেতে হবে। বাড়ির বাইরে থাকলে সব সময় বোতল সঙ্গে রাখুন। মাঝেমাঝেই জলে চুমুক দিতে থাকুন। জল ছাড়াও ডাবের জল, দইয়ের ঘোল, ফলের রস খেতে পারেন।