প্রতীকী ছবি।
ওজন কমানোর জন্য কত জনে যে কত কী করেন, তার ঠিক নেই। খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিলেন। দিনের পর দিন কাটালেন জিমেই। সকালে উঠে শরীরচর্চা করার জন্য কম ঘুমালেন। তাতে কাজও হল। বেশ কয়েক কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেললেন। কোমরের মাপ কমল কয়েক ইঞ্চি। কিন্তু তার পর?
নতুন মাপের যে পোশাকগুলি কিনলেন, সেগুলি কত দিন কাজে লাগাতে পারবেন? সারা জীবন কি একই ভাবে চলতে হবে? অর্থাৎ, খাবেন না। ঘুমাবেন কম। ব্যায়াম করেই যাবেন। মদ্যপান একটুও করবেন না। নিজের জন্মদিনের কেকও দাঁতে কাটবেন না। এ কি সম্ভব?
শুনেই তো মনে হচ্ছে যে কোনও না কোনও দিন ঠিক ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আর পারা যাবে না। তখন বন্ধ করতে হবে এ সব। তা হলে কি আবার ফিরে যেতে চান পুরনো চেহারায়? এত কষ্টের মানে কী তবে!
ওজন ঝরানো যত না কঠিন, তার চেয়ে ঢের কঠিন ওজন ধরে রাখা। এ কথা বলে থাকেন অনেকেই। কারণ কঠোর পরিশ্রম এক সময়ে করা গেলেও, তা ঘিরে ক্লান্তি আসে। এ দিকে, ওজন ধরে রাখার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার কোনও বিকল্প হয় না।
নিজের জন্মদিনের কেকও দাঁতে কাটবেন না। এ কি সম্ভব? নিজস্ব চিত্র।
তবে কোন কৌশলে নিজেকে আজীবন নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করতে পারেন? সবের আগে ঠিক করে নিতে পারেন একটি নিয়ম ভাঙার দিন। স্বাস্থ্য সচেতনেরা যাকে বলে ‘চিট ডে’। মাসে একটি দিন রাখুন, যে দিন মিষ্টি খেয়ে নেবেন। বা অন্তত জানবেন যে, এক টুকরো পিৎজা খাওয়ার অনুমতি নিজেকে নিজে দিচ্ছেন। তা হলে বাকি দিনগুলি সেই দিনটির দিকে তাকিয়ে কাটানো সম্ভব হবে।
নতুন চেহারা পেয়ে যে আপনি খুশি, তা রোজের সব কাজে নিজেকে মনে করান। এমন পোশাক কিনুন, যেগুলি আগে পরতে পারতেন না। এমন কিছু কাজ করুন, যা ওজনের জন্য আগে করার সাহস হত না।
আর এ সবের সঙ্গেই শরীরচর্চার একটা নিয়ম করে নিন। ওজন ঝরানোর সময়ে যতটা করেছিলেন। তার থেকে সামান্য কম করতেই পারেন। কিন্তু শরীরচর্চা যে আপনার শরীর এবং মন দু’টিই ভাল রাখে, সে সম্পর্কে নিজেকে সচেতন করুন। আগের থেকে যে কাজের ক্ষমতা বেড়েছে, তা খেয়াল রাখুন।
দেখবেন, খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়ামের ইচ্ছা ধরে রাখতে পারবেন। সঙ্গেই ধরে রাখা যাবে নিজের নতুন চেহারা।