সহজ শরীরচর্চায়ও বশে রাখা যায় উচ্চ রক্তচাপ। ছবি: সংগৃহীত।
উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময়ই নিঃশব্দে বিপদ ডেকে আনে। কমবয়সিদের মধ্যেও ইদানীং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অনেক সময়ই হার্ট অ্যাটাকের নেপথ্যে খলনায়ক হয়ে ওঠে আচমকা বৃদ্ধি পাওয়া রক্তচাপ। তাই সময় থাকতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তবে শুধু ওষুধ নয়, রক্তচাপ বশে রাখতে যেমন বাড়তি ওজন কমানো জরুরি, তেমনই খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবনযাপনে শৃঙ্খলাও গুরুত্বপূর্ণ।পাশাপাশি প্রয়োজন শরীরর্চা।
জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কোন ধরনের শরীরচর্চা কার্যকর।
হাঁটা
সকাল হোক বা সন্ধে, হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। হাঁটহাটিতে শরীর ও মন দুই-ই ভাল থাকে। ‘হাইপারটেনশন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, প্রতি দিন মাঝারি গতিতে আধ ঘণ্টা হাঁটলেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
যোগব্যায়াম
সকালের দিকে এক ঘণ্টা হাঁটার পাশাপাশি মিনিট ১৫ যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন।আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১২ সপ্তাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করার ফলে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেসার কমছে। যোগব্যায়াম উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে। উদ্বেগও অনেক সময় রক্তচাপ বৃদ্ধির নেপথ্যে কাজ করে।
প্রাণায়াম
প্রাণায়াম হল শ্বাসের ব্যায়াম। গভীর ভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া, এই সহজ প্রাণায়ামটি যদি দিনে ৫ মিনিট করা যায়, তাতেও লাভ হবে।গভীর ভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার ফলে স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাইক্লিং
সাইক্লিং, সাঁতারের মতো শরীরচর্চাও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সাইকেল চালালে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। সাঁতারেও সমগ্র শরীরের ব্যায়াম হয়।
ওজন নিয়ে ব্যায়াম
ওজন নিয়ে ব্যায়াম পেশি গঠনে যেমন সাহায্য করে, তেমনই উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। জিম প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে, হালকা ওজন নিয়ে এই ধরনের ব্যায়াম করা যেতে পারে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। রক্তচাপের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো কোনও প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে শরীরচর্চা করা উচিত।