ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ছবি- সংগৃহীত
কলকাতা-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে চড়ছে পারদ। ফের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে দুর্যোগের আশঙ্কার মাঝে তেমনই সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। সোমবার তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই তাপমাত্রা ছাপিয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি। এই সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। সেখান থেকে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অনেকেরই জলের স্বাদ ভাল লাগে না। তাই জল খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জল খেতে ভাল না লাগলেও এ সময়ে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর পানীয় বা জলের পরিমাণ বেশি আছে, এমন খাবার খাওয়া জরুরি। এ দিকে, বাড়ির বাইরে থাকলে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলে শুধু ডিহাইড্রেশন নয়, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েও জটিলতা বেড়ে যেতে পারে। তাই জল খেতে ভাল না লাগলেও এই আবহাওয়ায় শারীরিক সমস্যা এড়াতে শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না।
শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কী কী করবেন?
১) জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে মোবাইল ফোনে ‘রিমাইন্ডার’ দিয়ে রাখতে পারেন। বাড়ির বাইরে যেখানেই যান, সঙ্গে জলের বোতল নিয়ে বেরোনোই ভাল।
২) জল খেতে ভাল না লাগলে ওআরএস বা ডাবের জল, ঘোল, লেবুর রস-নুন-চিনির শরবত খাওয়া দরকার।
৩) জলশূন্যতা থেকে বাঁচতে, তেষ্টা না পেলেও জল খেতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে অনেক সময়েই তেষ্টা অনুভব করা যায় না। সে ক্ষেত্রে জল খাওয়ার কথা মনে করানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪) জলের স্বাদ ভাল না লাগলে জলের মধ্যে পুদিনা, তুলসী, লেবু বা অন্যান্য ফলের টুকরো ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন।
৫) ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে জলের পরিমাণ বেশি এমন শাকসব্জি বা ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।