ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ক্ষণ চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করতে হয়। ফলস্বরূপ কোমর, পিঠে ব্যথা তো হয়েছেই। তার উপর জলভর্তি ভারী বালতি তুলতে গিয়ে সেই যে কোমরে লাগল, কিছুতেই ঠিক হচ্ছে না। সেঁক, মালিশ কিংবা স্প্রে করে ব্যথা সাময়িক কমছে। কিন্তু, কোথাও যেন তা থেকেই যাচ্ছে। এমন সময়ে কাজ দিতে পারে মণ্ডুকাসন।
নিয়মিত মণ্ডুকাসন অভ্যাস করলে কী উপকার হবে?
১) বয়স হলে অনেক সময়ে দেহের ভারসাম্য নষ্ট হয়। দেহের নিম্নাঙ্গের সচলতা বাড়িয়ে তুলতে এবং ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। কোমর বা হিপ জয়েন্টের ব্যথায় আরাম দেয় মণ্ডুকাসন।
২) একটানা চেয়াল-টেবিলে বসে কোমরে ব্যথা হয়েছে? ‘জার্নাল অফ অর্থপেডিক রিউম্যাটোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে কষ্ট কমে।
৩) মণ্ডুকাসন অভ্যাস করলে উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। মণ্ডুকাসন অভ্যাস করলে এই ধরনের সমস্যাও বশে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের ভোগান্তিও নিরাময় করে এই আসন।
৫) গোটা শরীরের তো বটেই, বিশেষ করে দেহের নিম্নাঙ্গের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এই আসন। মহিলাদের ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে মণ্ডুকাসন।
কী ভাবে অভ্যাস করবেন এই আসন?
প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিতে বসুন। অর্থাৎ হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের উপর বসতে হবে।
এ বার খানিকটা হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে মাটিতে উপুড় হওয়ার চেষ্টা করুন।
সামনের দিকে হাত দুটো ছড়িয়ে দিন। কিন্তু, হাতের তালু মাটিতে থাকবে না। থাকবে দুই বাহু।
দু’টি পা ছড়িয়ে দিন দু’পাশে। এমন ভাবে ছড়াতে হবে, যেন দু’টি ঊরু এবং হাঁটু মাটি স্পর্শ করে থাকে। দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মতো লাগবে। থুতনি, বুক, পেটও মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকবে।
এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড থাকতে পারলে ভাল হয়। না হলে প্রথমে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে সময় বৃদ্ধি করবেন।
তবে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা এই যোগাসন করবেন না। পায়ে চোট পেয়ে থাকলে বা ব্যায়াম করার সময় গোড়ালিতে ব্যথা হলে আসন করা বন্ধ করে দিন। আলসারের সমস্যা থাকলেও এই ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।