প্রতিদিন খুব ভারী ব্যাগ বয়ে ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
অফিসে ল্যাপটপের সামনে এক ভাবে ঘাড় গুঁজে কাজ করতে করতে সময় কখন বেরিয়ে যায় বোঝা যায় না। কখনও কখনও কাজের এত চাপ থাকে যে, কম্পিউটারের পর্দা থেকে চোখ তোলারও সময় থাকে না। শুধু কি তাই, বাড়িতে ফিরেই হোক কিংবা অফিস থেকে ফেরার পথে মোবাইলে মুখ গুঁজে সিনেমা দেখা এবং বন্ধুকে মেসেজ করা তো লেগেই আছে। এই সব কারণে ঘাড়ে ব্যথার প্রকোপ বাড়ছে ক্রমশ। আট থেকে আশি— অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। আবার ভারী কোনও জিনিসপত্র তোলার সময়ে অসাবধনতাবশত ঘাড়ে লেগে যেতে পারে। যে কারণেই হোক, ব্যথা হলে প্রথম থেকেই চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। অবহেলা করলে পরে বড় কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঘাড়ে ব্যথায় নাজেহাল? ছবি: সংগৃহীত।
১) অফিসে কাজের চাপ থাকবে। তাই বলে শরীরের প্রতি অযত্ন ঠিক নয়। একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ না করে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর বিরতি নিন। প্রথমে মাথা নিচু করে কয়েক মিনিট বসে থাকুন। তার পর চোখের সোজাসুজি কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকুন। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই এটা করুন। ঘণ্টাখানেক পর পর উঠে দাঁড়ানোর অভ্যাস করুন।
২) অনেক সময় একটানা কয়েক দিন খুব ভারী ব্যাগ বইতে হলে ঘাড়ে ব্যথা হয়। তাই ভারী ব্যাগ সব সময়ে বহন করবেন না। যতটুকু জিনিস প্রয়োজন, সেগুলিই ব্যাগে রাখুন। ব্যাগ বেশি ভারী হয়ে গেলে ঘাড়ের পেশিতে চাপ পড়বে। পেশিগুলি স্থিতিস্থাপকতা হারাবে। দরকার পড়লে পিঠের ব্যাগে সব কিছু না নিয়ে হাতে আর একটি ব্যাগ নিয়ে চলুন।
৩) ঘাড়ে ব্যথা যদি দীর্ঘ দিন থাকে, সে ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করা বন্ধ করুন। বালিশ ছাড়া সোজা হয়ে ঘুমোলে ঘাড়ের পেশিগুলি ধীরে ধীরে নমনীয়তা ফিরে পাবে। খুব বেশি শক্ত বালিশে শুলে ঘাড়ের ব্যথা বাড়তে পারে। ব্যথা কমানোর জন্য ঘাড়ে ঠান্ডা-গরম সেঁক দিতে পারেন।
৪) শরীরচর্চার অভ্যাস ছাড়বেন না। শরীরচর্চা না করলে যে সমস্যাগুলি দেখা দেবে, তার মধ্যে অন্যতম হল ঘাড়ে ব্যথা। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করা জরুরি। ঘাড়ে ব্যথা হলেও শরীরচর্চার অভ্যাস ছাড়বেন না। বরং ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।