পেটপুজো। ছবি: সংগৃহীত
শীতকালের উৎসবের শেষ নেই। বড়দিন, নতুন বছরের উদ্যাপন তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে এ দিক-ও দিক বনভোজনের হাতছানি। আর এই সব কিছুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হল পেটপুজো। কিন্তু জানেন কি বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই খাওয়াদাওয়া কখনও কখনও এতটাই বেশি হয়ে যেতে পারে যে, এক জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি একদিনেই খেয়ে ফেলতে পারেন প্রায় ৬০০০ ক্যালোরি! কিন্তু উৎসব যেমন উদ্যাপন করতে হবে, তেমনিই খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থেরও। তাই কী ভাবে সম্ভব এই বিপুল পরিমাণ ক্যালোরির দহন, নজর দিতে হবে সে দিকে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
পরিসংখ্যান বলছে বছর শেষের ছুটিতে অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার ফলে গড়ে প্রায় ১ কেজি ওজন বাড়তে পারে এক জন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির। প্রাথমিক ভাবে এটি খুব বেশি মনে না হলেও এত অল্প সময়ে স্থায়ী ওজন বৃদ্ধি শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ছুটিতে বাড়িয়ে ফেলা ক্যালোরি ঝরাতে কোনও বিকল্পই নেই শরীরচর্চার। কাজেই এক দিনের অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া কতটা বিপুল হতে পারে, তা দেখে নেওয়া যেতে পারে শরীরচর্চার নিরিখেও।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের ভূরিভোজে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেন এক জন ব্যক্তি, তা ঝরাতে চার মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে ১২ ঘণ্টা হাঁটা প্রয়োজন। যা প্রায় ৬০ মাইল হাঁটার সমান! অথবা প্রয়োজন ৬ ঘণ্টা জগিং। এক দিনের খাওয়াদাওয়াতেই যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে পরপর কয়েক দিন ভূরিভোজ করলে কী অবস্থা হতে পারে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন গবেষকরা।
তবে একটু সামলে চললেই এই ক্যালোরির অগ্ন্যুত্পাত কিছুটা হলেও সামলানো যেতে পারে। মিষ্টি বা পানীয়ের মধ্যে যে কোনও একটিকে উপেক্ষা করা, মূল খাবারের আগের ভাজাভুজি এড়িয়ে চলার মতো ছোট ছোট জিনিস মেনে চললেই খাদ্যকে ৩০০০ ক্যালোরিতে বেঁধে ফেলা যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি, ভারী হোক বা হাল্কা, খাওয়াদাওয়ার পরে সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে বলে বলেই মত তাঁদের।