ছবি: প্রতীকী
না চাইলেও অনাহুতের মতো উড়ে এসে মানুষের জীবনে জুড়ে বসে মানসিক চাপ। যা মনের তো বটেই, শরীরেরও ক্ষতি করে। এই মানসিক চাপের প্রভাব পেশাগত জীবনেও পড়তে পারে। কারও ব্যক্তিগত জীবন নষ্ট হতে বসে এ কারণেই। ইন্টারনেটে বা লোকমুখে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার বহু টোটকা মেলে। মনোবিদেরাও নানা রকম সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকার নিদান দেন। তবে বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এই মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণ হল, খারাপ কোনও কাজ বা ঘটনা। কিন্তু মনোবিদেরা বলছেন, জীবনে এমন অনেক ভাল ঘটনাও ঘটে, যা মানসিক চাপ, উদ্বেগের জন্ম দেয়।
১) নতুন কাজ বা পদ
পড়াশোনা শেষ করে জীবনে প্রথম কর্মজগতে পা রাখার আনন্দ যেমন থাকে, তেমন চাপও থাকে অনেকের। তা ছাড়া কর্মে পদোন্নতি হলেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে মনে। তবে মনোবিদদের মতে, এই ধরনের চাপ আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। পেশাগত উন্নতিতেও কাজে লাগানো যেতে পারে অনায়াসে।
২) নতুন শহরে যাওয়ার ইচ্ছা
আরও ভাল পেশার সন্ধানে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকে। তবে নিজের চেনা পরিসর ছেড়ে, নতুন জায়গায় যাওয়ার উদ্বেগ কাজ করে অনেকের মধ্যেই। পরিবর্তনশীল এই মনোভাব কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৩) সম্পর্কে বাঁধা পড়া
পছন্দের মানুষটির থেকে বিয়ে বা সারা জীবন একসঙ্গে থাকার প্রস্তাব পাওয়া সত্যিই আনন্দের। তবে একসঙ্গে থাকার পাশাপাশি, অনেক দায়দায়িত্বও চলে আসে। সেই সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে মনে ভয় বা উদ্বেগের জন্ম হতেই পারে। মনোবিদেরা বলছেন, জীবনে প্রতিটি স্তরেই জটিলতা রয়েছে। সেগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, উল্টো দিকের মানুষটির সঙ্গে সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়।
৪) উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ
চাকরি করতে করতে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে চান অনেকেই। কিন্তু এ ভাবে দু’দিক সামাল দেওয়া যথেষ্ট পরিশ্রমের। মানসিক চাপও বেড়ে যেতে পারে। তবে চাপ থাকলেও এই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পেশাগত জীবনে যে কোনও ব্যক্তিকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
৫) সন্তানধারণের ইচ্ছা
পরিবারে নতুন সদস্য এলে খুশির আবহ তৈরি হয়। তবে অভিভাবকদের জীবনে কিন্তু আমূল পরিবর্তন ঘটে যায়। সন্তানের দায়িত্ব, নিজের ভাল থাকা— সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলতে গিয়ে কখনও কখনও আনন্দের মধ্যেও বিষাদ দেখা দিতে পারে। তবে খুদে একটু বড় হয়ে গেলেই এই সমস্যা কেটে যায়।