মন ভাল না থাকার প্রভাব পড়তে পারে আপনার দাঁতের উপরেও।
কখনও অতিরিক্ত কাজের চাপ। কখনও সাংসারিক জীবনে বনিবনার অভাব। কখনও পরীক্ষার ফল ভাল না হলে কী হবে সেই চিন্তা। কখনও আবার অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা। জীবনের যে কোনও স্তরে, যে কোনও কারণে ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ। একাকিত্ব, মানসিক যন্ত্রণা, দুঃখ ধীরে ধীরে রূপ নেয় অবসাদের। সময় মতো এর চিকিৎসকের কাছে না গেলে, অবসাদ মানুষকে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে নিয়ে যেতে পারে।
মন ভাল না থাকার প্রভাব পড়তে পারে আপনার দাঁতের উপরেও। শুনতে আবাক লাগলেও ব্যাপারটা সত্যি। জেনে নিন কেন এমনটা হয়।
১) মন ভাল না থাকলে বাড়িতে রান্নাবান্না করার ইচ্ছা থাকে না। অগত্যা রেস্তরাঁর খাবারের উপরেই ভরসা রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে দোকান থেকে কেনা তেল-ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে দাঁতের স্বাস্থ্যের বারোটা বাজে।
২) দুশ্চিন্তা হলে অনেকেই মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এর ফলে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া এবং ক্যাভিটির সমস্যা দেখা যায়।
প্রতীকী ছবি।
৩) অবসাদে ভুগলে অনেকের ক্ষেত্রেই ‘বার্নিং মাউথ সিনড্রোম’ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে মাড়ি ফুলে যায়, মুখের ভিতর জ্বালা করে। এমনকি, জিভের স্বাদও চলে যেতে পারে।
৪) অবসাদের কারণে কোনও কাজেই মন বসে না। যাঁদের আগে থেকেই দাঁতের সমস্যা আছে, তাঁরা অবসাদের কারণে নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা করাতে ভুলে যান। মনে থাকলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে আলস্য আসে। আর এতেই সমস্যা আরও বাড়ে।
৫) এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ওষুধ দেওয়া হয়। এই প্রকার ওষুধের হাজার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই প্রকার ওষুধ মাড়ির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬) অবসাদে ভুগলে অনেকেই ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। এই অভ্যাসেও দাঁতের স্বাস্থ্যের ভীষণ ক্ষতি হয়। মুখে ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।