কাঁচা নুন মস্তিষ্কের নিউরন বা স্নায়ুকোষকে প্রভাবিত করে। ছবি: সংগৃহীত
নুন ছাড়া সব খাবারই বিস্বাদ। রান্নাতে ঠিক মতো নুন না হলে অনেকেই পাতে কাঁচা নুন খান। এই ভাবে সারা দিনে কতটা নুন বা সো়ডিয়াম শরীর প্রবেশ করে তার হিসাব থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, প্রতি দিনের খাবারে নুনের মাত্রা সামান্য বেশি হলেও তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে নুন একেবারেই এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। নুন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধি করে। ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর মতে প্রতি দিন সর্বোচ্চ ১৫,০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত নুন খাওয়া যেতে পারে। শরীরে জল ধরে রাখা নুনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তবে নুনের পরিমাণ বেড়ে গেল শরীরে অতিরিক্ত জল জমে যায়। কাঁচা নুন মস্তিষ্কের নিউরন বা স্নায়ুকোষকে প্রভাবিত করে। এর প্রভাবে কোলন ক্যানসার ও পাকস্থলীর ক্যানসারের মতো মারণরোগও বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রেও নুন মূল ভূমিকা পালন করে।
রান্না সুস্বাদু করে তুলতে নুন দিতেই হয়। তবে পরিমাণে অল্প দেওয়া ভাল। রান্নার স্বাদ বাড়াতে নুন অল্প দিয়ে বদলে ব্যবহার করতে পারেন রসুন, ভিনিগার, বিভিন্ন মশলা। বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারেও নুনের স্বাদ পাবেন। তবে সেগুলি অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রেও নুন মূল ভূমিকা পালন করে। ছবি: সংগৃহীত
কতটা নুন খাবেন?
একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ প্রত্যেক দিন এক চা চামচ নুন পর্যন্ত নুন খেতে পারেন। রোজের খাদ্যতালিকায় পাঁচ-ছ’গ্রাম নুন খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। তবে বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগলে কাঁচা নুন খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
নুন খেলেও কোন বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন?
১) মাখন, চিজ, পাউরুটি ইত্যাদি খাবারে নুন থাকে। রোজের খাদ্যতালিকায় এই জাতীয় খাবারগুলি থাকলে অন্য খাবারে নুনের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
২) বাজারচলতি প্যাকেটজাত খাবার যেমন চিপ্স, সসেজ, সসেও নুন থাকে। এই ধরনের খাবার খাওয়ার বিষযে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ অনেকেই শরীরচর্চা করেন। ঘাম ঝরান। ঘামের মধ্যে দিয়ে শরীর থেকে নুন বেরিয়ে যায়। তাঁরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো খাবারে নুনের পরিমাণ ঠিক করুন। শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখতে অল্প নুন প্রয়োজন।