প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর কেউ কেউ হয়তো দ্বিতীয় সন্তান পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সকলকেই অনেক ভেবে-চিন্তে চলতে হয়। এখনকার নারীরা যে কোনও পদক্ষেপের আগেই পরিকল্পনা করেন। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত ভেবে চিন্তে নিয়ে থাকেন। যেমন কোভিড আবহে দীর্ঘ লকডাউনে ঘরবন্দি থাকার সময়টিকে কাজে লাগিয়েছেন অনেকেই। অনেক মহিলাই এই সময়ে মা হয়েছেন। তাছাড়া করোনার কারণে বাড়ি থেকে কাজ করতে হওয়ার ফলে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবেননি অনেকেই।
অনেকেই দ্বিতীয় সন্তানের কথাও ভাবেন। এখনও যেহেতু কোভিড আবহ কাটেনি। বাড়ি থেকে কাজ করাও বজায় রয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। ফলে প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার কিছু মাস পরে থেকেই কেউ কেউ হয়তো দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এই ভাবনা ঠিক কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?
দুই সন্তানের মধ্যে পাঁচ বছরের ব্যবধান রাখলে যথেষ্ঠ। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। ‘হু’-এর তরফে বলা হয়েছে, প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর দ্বিতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মাঝে অন্তত দু’বছরের ব্যবধান থাকা উচিত। এমনকি যাঁদের অনিচ্ছাকৃত ভাবে গর্ভপাত হয়ে যায়, তাঁদেরও অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করা উচিত পরবর্তী পদক্ষেপ করার আগে।কারণ, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। তবেব্যবধান অনেক বেড়ে যাওয়াও আবারখুব ভাল নয়। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দুই সন্তানের মধ্যে পাঁচ বছরের ব্যবধান রাখলে যথেষ্ঠ। তার বেশি ব্যবধান মা এবং সন্তান, উভয়ের পক্ষেই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার বছরখানেকের মধ্যে দ্বিতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা হলে কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১) অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়
২) সন্তান সময়ের আগেই জন্ম নিতে পারে
3) অন্তঃসত্ত্বারা রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন
৪) দ্বিতীয় সন্তান অটিজম বা স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে