ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ভেজানো কাঠাবাদাম খেয়ে থাকেন অনেকেই। তা নিঃসন্দেহে ভাল অভ্যাস। কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, ভাল মানের ফ্যাট, ক্যালশিয়াম এবং রাইবোফ্ল্যাভিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। হার্ট, ত্বক, হাড়ের যত্ন নেয় এই সমস্ত উপাদান। সামগ্রিক ভাবে শরীর ভাল রাখতেও সাহায্য করে। তবে কাঠবাদামের সংখ্যা এবং খাওয়ার পদ্ধতির উপরে নির্ভর করে তার পুষ্টিগুণ। নিয়ম করে রোজ খেতে পারলে ৫-৬টি কাঠাবাদাম যথেষ্ট বলে মনে করেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু প্রত্যেকের শরীরের চাহিদা তো আলাদা! তা হলে বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য যে ক’টি বাদাম খাবেন, একজন মধ্যবয়সিও কি সেই পরিমাণ বাদাম খাবেন?
যে কোনও খাবারের ক্ষেত্রেই তার পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ। কোনও কোনও ব্যক্তিকে একমুঠো কাঠবাদাম খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। আবার, কাউকে মাত্র ৫-৬টি বাদাম খেয়েই ক্ষান্ত থাকতে হয়। তবে এই সংখ্যাটি যথেষ্ট নয়।
এক দল পুষ্টিবিদ মনে করেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য প্রতি দিন যে পরিমাণ ভিটামিন, প্রোটিন, ফ্যাট এবং খনিজ প্রয়োজন হয়, তা ৩০ গ্রাম কাঠাবাদাম থেকেই পাওয়া সম্ভব। গুনে দেখলে বাদামের সংখ্যা হয় প্রায় ২৩টি। অর্থাৎ প্রতি দিন ২৩টি করে কাঠবাদাম খেলে শরীরে সব উপাদানের সমতা বজায় থাকবে। এখন স্বাস্থ্য সচেতনদের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন ২৩? বাদামের সংখ্যা ২২ বা ২৪ হলেই বা সমস্যা কোথায়?
পুষ্টিবিদেরা এই বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন। তাঁরা বলছেন, ২৩টি বাদামে যে সব উপাদান যে পরিমাণে রয়েছে, তা একজন কর্মঠ, প্রাপ্তবয়স্কের জন্য যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি বা কম কাঠাবাদাম খেলে যে শরীরের ক্ষতি হবে, এমনটা কিন্তু নয়। তবে যতটা প্রভাব পড়ার কথা ছিল, হয়তো ততটা হবে না। কিংবা কিছু ক্ষেত্রে বেশি হবে। পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে কাঠবাদাম অবশ্যই ভিজিয়ে খেতে হবে।